King Opal Variegated Bougainvillea ফুল গাছ (Ixora coccinea) একটি সুন্দর এবং সজ্জন ফুলের গাছ, যা সাধারণত বাংলাদেশের বাগানে এবং উদ্যানের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। এর ছোট, উজ্জ্বল লাল, কমলা বা হলুদ ফুলগুলি বাগানে আর্কষণীয় দৃশ্য তৈরি করে।
সৌন্দর্য:
King Opal Variegated Bougainvillea ফুল গাছটি তার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য এবং সবুজ পাতা সহ সাদা ফুলের মেলা দিয়ে এক চমৎকার দৃশ্য উপস্থাপন করে। এটি ফুলে ভরপুর একটি গাছ, যার ফলে বাগান বা বাড়ির আঙ্গিনায় বেশ শোভাময় হয়ে ওঠে। গাছের ফুল সাধারণত বেশ বড় এবং সাদা অথবা হালকা ক্রিম রঙের হয়, যা পাপড়ির মধ্যে একটি গভীর ভাঁজ সৃষ্টি করে। ফুলের সুগন্ধি অনেক দূর থেকে আভাস দেয়, যা শ্বাস প্রশ্বাসে প্রশান্তি এনে দেয়। এর সুবাস এতই মিষ্টি যে, অনেকের মতে এটি গন্ধে ও সৌন্দর্যে অন্যান্য ফুলের তুলনায় অনেক এগিয়ে।
বাগানবিলাস ফুল গাছের যত্ন:
King Opal Variegated Bougainvillea গাছের যত্ন বেশ কিছু বিশেষ দিকের প্রতি মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। সঠিক যত্নে এই গাছটি দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দর ফুল দেয় এবং তার সৌন্দর্য বজায় রাখে।
১. আলো:
King Opal Variegated Bougainvillea গাছ পূর্ণ সূর্যালোক পছন্দ করে, তবে সরাসরি সূর্যের তাপে পাতা পুড়ে যেতে পারে। তাই, গাছটি এমন একটি স্থানে রাখুন যেখানে পরোক্ষ সূর্যালোক পাওয়া যায়। খুব বেশি ছায়ায় রাখলে ফুল ভালোভাবে জন্মাবে না।
২. মাটি:
King Opal Variegated Bougainvillea গাছ সোজা মাটির জন্য উপযুক্ত নয়। তাই মাটির পিএইচ (PH) মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকা উচিত। জমি বা মাটির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে জলনিরোধী উপাদান থাকতে হবে, যাতে মাটিতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
৩. জল দেওয়া:
King Opal Variegated Bougainvillea গাছকে নিয়মিত পানি দিতে হয়, তবে অতিরিক্ত পানি জমাতে হবে না। গরমকালে মাটি শুকিয়ে গেলে প্রতিদিন পানি দেয়া প্রয়োজন। শীতকালে, পানি দেওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত যাতে মাটি স্যাঁতসেঁতে না থাকে এবং গাছটি পচে না যায়।
৪. সার:
King Opal Variegated Bougainvillea গাছকে নিয়মিত সার দেওয়ার প্রয়োজন। প্রতি মাসে একবার একমাত্র পটাশিয়াম ও ফসফরাসযুক্ত সার দিতে পারেন, যাতে ফুলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং গাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৫. কাটা ছেঁড়া:
বাগানবিলাস গাছের শুকানো ফুল এবং পাতাগুলি কেটে ফেলা উচিত যাতে গাছটি সুস্থ থাকে এবং আরও ফুল তৈরি করতে পারে। গাছটির আকার ঠিক রাখার জন্য মাঝে মাঝে প্রয়োজন অনুসারে কাটা-ছেঁড়া করা উচিত।
৬. উপযুক্ত তাপমাত্রা:
বাগানবিলাস গাছটি ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। শীতকালে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে গাছটির বৃদ্ধি কমে যায়। অতএব, শীতকালে গাছটি অন্তত ১৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখুন।
৭. রোগ-পোকামাকড়ের উপদ্রব:
বাগানবিলাস গাছটি কখনও কখনও কিছু সাধারণ রোগ এবং পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে, যেমন পাতার ঝুলে যাওয়া বা পিপড়ে আসা। তাই, গাছটির নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে কীটনাশক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
৮. প্রজনন বা বংশবৃদ্ধি:
বাগানবিলাস গাছের বংশবৃদ্ধি বেশ সহজ হলেও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সাধারণত গাছটির চারা কাটার মাধ্যমে এটি বৃদ্ধি করা যায়। গাছের ডাল কেটে, একটি ভাল মাটির খামারে রোপণ করতে হবে। কেটে নেওয়া ডালটি ধীরে ধীরে নতুন শিকড় তৈরি করে এবং একসময় নতুন গাছ হিসেবে বিকাশ লাভ করে।
উপসংহার:
বাগানবিলাস ফুল গাছ তার শোভা, সুন্দর ফুল এবং মিষ্টি সুবাসের কারণে একটি অত্যন্ত প্রিয় গাছ। সঠিক যত্ন নিলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে আপনাকে ফুলের সৌন্দর্য ও গন্ধ উপভোগ করতে দেবে। গাছটি গরম ও আর্দ্র জলবায়ু পছন্দ করে, তবে শীতের সময়ে বিশেষ যত্ন নিলে গাছটি সুস্থ থাকবে।
বাগানবিলাস ফুল গাছের যত্নের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যা আপনি অনুসরণ করলে গাছটি সুস্থ থাকবে এবং ভাল ফুল দিতে থাকবে।
Reviews
There are no reviews yet.