চেন্দাই পারপেল স্টার বাগানবিলাস | Cendai Purple Star Bougainvillea | Cendai Purple Star Baganbilash
কিং ওপাল ভেরিগেটেড বাগানবিলাশ | King Opal Variegated Bougainvillea | King Opal Variegated Bougainvillea Baganbilash
সৌন্দর্য:
King Opal Variegated Bougainvillea ফুল গাছটি তার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য এবং সবুজ পাতা সহ সাদা ফুলের মেলা দিয়ে এক চমৎকার দৃশ্য উপস্থাপন করে। এটি ফুলে ভরপুর একটি গাছ, যার ফলে বাগান বা বাড়ির আঙ্গিনায় বেশ শোভাময় হয়ে ওঠে। গাছের ফুল সাধারণত বেশ বড় এবং সাদা অথবা হালকা ক্রিম রঙের হয়, যা পাপড়ির মধ্যে একটি গভীর ভাঁজ সৃষ্টি করে। ফুলের সুগন্ধি অনেক দূর থেকে আভাস দেয়, যা শ্বাস প্রশ্বাসে প্রশান্তি এনে দেয়। এর সুবাস এতই মিষ্টি যে, অনেকের মতে এটি গন্ধে ও সৌন্দর্যে অন্যান্য ফুলের তুলনায় অনেক এগিয়ে।বাগানবিলাস ফুল গাছের যত্ন:
King Opal Variegated Bougainvillea গাছের যত্ন বেশ কিছু বিশেষ দিকের প্রতি মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। সঠিক যত্নে এই গাছটি দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দর ফুল দেয় এবং তার সৌন্দর্য বজায় রাখে।১. আলো:
King Opal Variegated Bougainvillea গাছ পূর্ণ সূর্যালোক পছন্দ করে, তবে সরাসরি সূর্যের তাপে পাতা পুড়ে যেতে পারে। তাই, গাছটি এমন একটি স্থানে রাখুন যেখানে পরোক্ষ সূর্যালোক পাওয়া যায়। খুব বেশি ছায়ায় রাখলে ফুল ভালোভাবে জন্মাবে না।২. মাটি:
King Opal Variegated Bougainvillea গাছ সোজা মাটির জন্য উপযুক্ত নয়। তাই মাটির পিএইচ (PH) মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকা উচিত। জমি বা মাটির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে জলনিরোধী উপাদান থাকতে হবে, যাতে মাটিতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।৩. জল দেওয়া:
King Opal Variegated Bougainvillea গাছকে নিয়মিত পানি দিতে হয়, তবে অতিরিক্ত পানি জমাতে হবে না। গরমকালে মাটি শুকিয়ে গেলে প্রতিদিন পানি দেয়া প্রয়োজন। শীতকালে, পানি দেওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত যাতে মাটি স্যাঁতসেঁতে না থাকে এবং গাছটি পচে না যায়।৪. সার:
King Opal Variegated Bougainvillea গাছকে নিয়মিত সার দেওয়ার প্রয়োজন। প্রতি মাসে একবার একমাত্র পটাশিয়াম ও ফসফরাসযুক্ত সার দিতে পারেন, যাতে ফুলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং গাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।৫. কাটা ছেঁড়া:
বাগানবিলাস গাছের শুকানো ফুল এবং পাতাগুলি কেটে ফেলা উচিত যাতে গাছটি সুস্থ থাকে এবং আরও ফুল তৈরি করতে পারে। গাছটির আকার ঠিক রাখার জন্য মাঝে মাঝে প্রয়োজন অনুসারে কাটা-ছেঁড়া করা উচিত।৬. উপযুক্ত তাপমাত্রা:
বাগানবিলাস গাছটি ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। শীতকালে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে গাছটির বৃদ্ধি কমে যায়। অতএব, শীতকালে গাছটি অন্তত ১৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখুন।৭. রোগ-পোকামাকড়ের উপদ্রব:
বাগানবিলাস গাছটি কখনও কখনও কিছু সাধারণ রোগ এবং পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে, যেমন পাতার ঝুলে যাওয়া বা পিপড়ে আসা। তাই, গাছটির নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে কীটনাশক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।৮. প্রজনন বা বংশবৃদ্ধি:
বাগানবিলাস গাছের বংশবৃদ্ধি বেশ সহজ হলেও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সাধারণত গাছটির চারা কাটার মাধ্যমে এটি বৃদ্ধি করা যায়। গাছের ডাল কেটে, একটি ভাল মাটির খামারে রোপণ করতে হবে। কেটে নেওয়া ডালটি ধীরে ধীরে নতুন শিকড় তৈরি করে এবং একসময় নতুন গাছ হিসেবে বিকাশ লাভ করে।উপসংহার:
বাগানবিলাস ফুল গাছ তার শোভা, সুন্দর ফুল এবং মিষ্টি সুবাসের কারণে একটি অত্যন্ত প্রিয় গাছ। সঠিক যত্ন নিলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে আপনাকে ফুলের সৌন্দর্য ও গন্ধ উপভোগ করতে দেবে। গাছটি গরম ও আর্দ্র জলবায়ু পছন্দ করে, তবে শীতের সময়ে বিশেষ যত্ন নিলে গাছটি সুস্থ থাকবে। বাগানবিলাস ফুল গাছের যত্নের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যা আপনি অনুসরণ করলে গাছটি সুস্থ থাকবে এবং ভাল ফুল দিতে থাকবে।প্রিন্সেস আতাশা বাগানবিলাশ | Princess Atasha Bougainvillea | Princess Atasha Baganbilash
সৌন্দর্য:
Princess Atasha Bougainvillea ফুল গাছটি তার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য এবং সবুজ পাতা সহ সাদা ফুলের মেলা দিয়ে এক চমৎকার দৃশ্য উপস্থাপন করে। এটি ফুলে ভরপুর একটি গাছ, যার ফলে বাগান বা বাড়ির আঙ্গিনায় বেশ শোভাময় হয়ে ওঠে। গাছের ফুল সাধারণত বেশ বড় এবং সাদা অথবা হালকা ক্রিম রঙের হয়, যা পাপড়ির মধ্যে একটি গভীর ভাঁজ সৃষ্টি করে। ফুলের সুগন্ধি অনেক দূর থেকে আভাস দেয়, যা শ্বাস প্রশ্বাসে প্রশান্তি এনে দেয়। এর সুবাস এতই মিষ্টি যে, অনেকের মতে এটি গন্ধে ও সৌন্দর্যে অন্যান্য ফুলের তুলনায় অনেক এগিয়ে।বাগানবিলাস ফুল গাছের যত্ন:
Princess Atasha Bougainvillea গাছের যত্ন বেশ কিছু বিশেষ দিকের প্রতি মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। সঠিক যত্নে এই গাছটি দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দর ফুল দেয় এবং তার সৌন্দর্য বজায় রাখে।১. আলো:
Princess Atasha Bougainvillea গাছ পূর্ণ সূর্যালোক পছন্দ করে, তবে সরাসরি সূর্যের তাপে পাতা পুড়ে যেতে পারে। তাই, গাছটি এমন একটি স্থানে রাখুন যেখানে পরোক্ষ সূর্যালোক পাওয়া যায়। খুব বেশি ছায়ায় রাখলে ফুল ভালোভাবে জন্মাবে না।২. মাটি:
Princess Atasha Bougainvillea গাছ সোজা মাটির জন্য উপযুক্ত নয়। তাই মাটির পিএইচ (PH) মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকা উচিত। জমি বা মাটির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে জলনিরোধী উপাদান থাকতে হবে, যাতে মাটিতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।৩. জল দেওয়া:
Princess Atasha Bougainvillea গাছকে নিয়মিত পানি দিতে হয়, তবে অতিরিক্ত পানি জমাতে হবে না। গরমকালে মাটি শুকিয়ে গেলে প্রতিদিন পানি দেয়া প্রয়োজন। শীতকালে, পানি দেওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত যাতে মাটি স্যাঁতসেঁতে না থাকে এবং গাছটি পচে না যায়।৪. সার:
Princess Atasha Bougainvillea গাছকে নিয়মিত সার দেওয়ার প্রয়োজন। প্রতি মাসে একবার একমাত্র পটাশিয়াম ও ফসফরাসযুক্ত সার দিতে পারেন, যাতে ফুলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং গাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।৫. কাটা ছেঁড়া:
বাগানবিলাস গাছের শুকানো ফুল এবং পাতাগুলি কেটে ফেলা উচিত যাতে গাছটি সুস্থ থাকে এবং আরও ফুল তৈরি করতে পারে। গাছটির আকার ঠিক রাখার জন্য মাঝে মাঝে প্রয়োজন অনুসারে কাটা-ছেঁড়া করা উচিত।৬. উপযুক্ত তাপমাত্রা:
বাগানবিলাস গাছটি ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। শীতকালে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে গাছটির বৃদ্ধি কমে যায়। অতএব, শীতকালে গাছটি অন্তত ১৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখুন।৭. রোগ-পোকামাকড়ের উপদ্রব:
বাগানবিলাস গাছটি কখনও কখনও কিছু সাধারণ রোগ এবং পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে, যেমন পাতার ঝুলে যাওয়া বা পিপড়ে আসা। তাই, গাছটির নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে কীটনাশক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।৮. প্রজনন বা বংশবৃদ্ধি:
বাগানবিলাস গাছের বংশবৃদ্ধি বেশ সহজ হলেও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সাধারণত গাছটির চারা কাটার মাধ্যমে এটি বৃদ্ধি করা যায়। গাছের ডাল কেটে, একটি ভাল মাটির খামারে রোপণ করতে হবে। কেটে নেওয়া ডালটি ধীরে ধীরে নতুন শিকড় তৈরি করে এবং একসময় নতুন গাছ হিসেবে বিকাশ লাভ করে।উপসংহার:
বাগানবিলাস ফুল গাছ তার শোভা, সুন্দর ফুল এবং মিষ্টি সুবাসের কারণে একটি অত্যন্ত প্রিয় গাছ। সঠিক যত্ন নিলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে আপনাকে ফুলের সৌন্দর্য ও গন্ধ উপভোগ করতে দেবে। গাছটি গরম ও আর্দ্র জলবায়ু পছন্দ করে, তবে শীতের সময়ে বিশেষ যত্ন নিলে গাছটি সুস্থ থাকবে। বাগানবিলাস ফুল গাছের যত্নের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যা আপনি অনুসরণ করলে গাছটি সুস্থ থাকবে এবং ভাল ফুল দিতে থাকবে।হাওয়াইয়ান পার্পল বাগানবিলাস বড় | Hawaiian Purple Bougainvillea Plant | Hawaiian Purple Baganbilash
Hawaiian Purple Bougainvillea মৌসুম অনুযায়ী যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ:
-
গ্রীষ্মকাল (২৫-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা): গ্রীষ্মকালে Hawaiian Purple Bougainvillea ফুল গাছটির জন্য আদর্শ সময়। এই গাছটি প্রচুর সূর্যালোক পছন্দ করে এবং গরম তাপমাত্রায় ফুল দেওয়ার জন্য প্রাকৃতিকভাবে সহায়ক। গ্রীষ্মের সময় গাছটির জন্য পর্যাপ্ত পানি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে অতিরিক্ত পানি দিলে শিকড়ে পচন ঘটতে পারে। গাছটি মাঝারি আর্দ্র মাটি পছন্দ করে, তাই মাটির জলাবদ্ধতা এড়িয়ে চলতে হবে। সাধারণত, গ্রীষ্মকালে একদিন অন্তর পানি দেওয়া যায়, তবে গাছের শিকড় যেন সিক্ত না হয়ে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
-
বর্ষাকাল (প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাত): বর্ষাকালে Hawaiian Purple Bougainvillea গাছটির যত্ন কিছুটা পরিবর্তিত হয়। বৃষ্টিপাতের সময় গাছের পানি চাহিদা অনেকটাই কমে যায়। তাই, অতিরিক্ত পানি সেচ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বর্ষাকালে গাছটি সঠিকভাবে সেচ প্রাপ্ত হলে, খুব ভালভাবে বেড়ে উঠবে এবং ফুল দিতে থাকবে। তবে, বৃষ্টির পর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে, যা শিকড়ে পচন ঘটাতে পারে। তাই গাছের নিচে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
-
শীতকাল (১০-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা): শীতকাল Hawaiian Purple Bougainvillea গাছটির জন্য বিশ্রামের সময়। শীতকালে গাছটির বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায় এবং ফুলের পরিমাণ কমে যায়। শীতকালীন সময়টাতে গাছের পানি দেওয়ার প্রয়োজন কম থাকে। তবে, যদি মাটি অতিরিক্ত শুকিয়ে যায়, তবে কিছুটা পানি দেওয়া যেতে পারে। শীতকালে গাছের পাতা ও শাখাগুলি অত্যন্ত নরম হয়ে থাকে, তাই ঠান্ডা থেকে গাছটিকে রক্ষা করার জন্য কিছু পলিথিন বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা যেতে পারে।
-
বসন্তকাল (২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা): বসন্তকাল হলো Hawaiian Purple Bougainvillea গাছের জন্য সবচেয়ে সক্রিয় এবং ফলপ্রসূ সময়। এই সময় গাছটি আবার ফুল দিতে শুরু করে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বসন্তকালে গাছটির জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং সুষম সার প্রয়োজন। গাছটির শিকড়ে আদর্শ আর্দ্রতা বজায় রাখা এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Hawaiian Purple Bougainvillea সাধারণ যত্ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ:
-
ছাঁটাই: Hawaiian Purple Bougainvilleaগাছটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এই কারণে নিয়মিত ছাঁটাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শাখাগুলি পরিপূর্ণভাবে ছাঁটাই করলে গাছটি আরও বেশি ফুল দিতে পারে এবং ফুলের জন্য জায়গা তৈরি হয়।
-
পানি সেচন: অতিরিক্ত পানি সেচের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে, কারণ অতিরিক্ত পানি গাছের শিকড়ে পচন সৃষ্টি করতে পারে। গাছের শিকড় যেন সঠিকভাবে শোষণ করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
-
সার ব্যবহার: ফুলের জন্য সুষম সার ব্যবহার করুন, তবে শীতকালে সার প্রয়োগে কিছুটা কমানো যেতে পারে। বসন্ত ও গ্রীষ্মে সার বেশি প্রয়োগ করা উচিত, যাতে গাছের ফুল ও পাতা শক্তিশালী হয়।
-
আলোর ব্যবস্থা: এই গাছটি সরাসরি সূর্যালোক পছন্দ করে, তাই এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে সূর্যালোক পর্যাপ্ত থাকে।
Hawaiian Purple Bougainvillea গাছটির বিশেষ রঙ এবং সৌন্দর্য সঠিক যত্নের মাধ্যমে বাগানে চমৎকার শোভা সৃষ্টি করতে পারে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত ও বসন্তে, প্রতিটি মৌসুমে সঠিক যত্ন নিয়ে গাছটির পূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব।
জুয়েল ইয়োলো বাগানবিলাস | Jewel Yellow Bougainvillea Plant | Jewel Yellow Baganbilash
Jewel Yellow Bougainvillea মৌসুম অনুযায়ী যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ:
-
গ্রীষ্মকাল (২৫-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা): গ্রীষ্মকালে Jewel Yellow Bougainvillea ফুল গাছটির জন্য আদর্শ সময়। এই গাছটি প্রচুর সূর্যালোক পছন্দ করে এবং গরম তাপমাত্রায় ফুল দেওয়ার জন্য প্রাকৃতিকভাবে সহায়ক। গ্রীষ্মের সময় গাছটির জন্য পর্যাপ্ত পানি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে অতিরিক্ত পানি দিলে শিকড়ে পচন ঘটতে পারে। গাছটি মাঝারি আর্দ্র মাটি পছন্দ করে, তাই মাটির জলাবদ্ধতা এড়িয়ে চলতে হবে। সাধারণত, গ্রীষ্মকালে একদিন অন্তর পানি দেওয়া যায়, তবে গাছের শিকড় যেন সিক্ত না হয়ে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
-
বর্ষাকাল (প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাত): বর্ষাকালে Jewel Yellow Bougainvillea গাছটির যত্ন কিছুটা পরিবর্তিত হয়। বৃষ্টিপাতের সময় গাছের পানি চাহিদা অনেকটাই কমে যায়। তাই, অতিরিক্ত পানি সেচ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বর্ষাকালে গাছটি সঠিকভাবে সেচ প্রাপ্ত হলে, খুব ভালভাবে বেড়ে উঠবে এবং ফুল দিতে থাকবে। তবে, বৃষ্টির পর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে, যা শিকড়ে পচন ঘটাতে পারে। তাই গাছের নিচে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
-
শীতকাল (১০-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা): শীতকাল Jewel Yellow Bougainvillea গাছটির জন্য বিশ্রামের সময়। শীতকালে গাছটির বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায় এবং ফুলের পরিমাণ কমে যায়। শীতকালীন সময়টাতে গাছের পানি দেওয়ার প্রয়োজন কম থাকে। তবে, যদি মাটি অতিরিক্ত শুকিয়ে যায়, তবে কিছুটা পানি দেওয়া যেতে পারে। শীতকালে গাছের পাতা ও শাখাগুলি অত্যন্ত নরম হয়ে থাকে, তাই ঠান্ডা থেকে গাছটিকে রক্ষা করার জন্য কিছু পলিথিন বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা যেতে পারে।
-
বসন্তকাল (২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা): বসন্তকাল হলো Jewel Yellow Bougainvillea গাছের জন্য সবচেয়ে সক্রিয় এবং ফলপ্রসূ সময়। এই সময় গাছটি আবার ফুল দিতে শুরু করে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বসন্তকালে গাছটির জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং সুষম সার প্রয়োজন। গাছটির শিকড়ে আদর্শ আর্দ্রতা বজায় রাখা এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Jewel Yellow Bougainvillea সাধারণ যত্ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ:
-
ছাঁটাই: Jewel Yellow Bougainvillea গাছটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এই কারণে নিয়মিত ছাঁটাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শাখাগুলি পরিপূর্ণভাবে ছাঁটাই করলে গাছটি আরও বেশি ফুল দিতে পারে এবং ফুলের জন্য জায়গা তৈরি হয়।
-
পানি সেচন: অতিরিক্ত পানি সেচের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে, কারণ অতিরিক্ত পানি গাছের শিকড়ে পচন সৃষ্টি করতে পারে। গাছের শিকড় যেন সঠিকভাবে শোষণ করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
-
সার ব্যবহার: ফুলের জন্য সুষম সার ব্যবহার করুন, তবে শীতকালে সার প্রয়োগে কিছুটা কমানো যেতে পারে। বসন্ত ও গ্রীষ্মে সার বেশি প্রয়োগ করা উচিত, যাতে গাছের ফুল ও পাতা শক্তিশালী হয়।
-
আলোর ব্যবস্থা: এই গাছটি সরাসরি সূর্যালোক পছন্দ করে, তাই এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে সূর্যালোক পর্যাপ্ত থাকে।
Jewel Yellow Bougainvillea গাছটির বিশেষ রঙ এবং সৌন্দর্য সঠিক যত্নের মাধ্যমে বাগানে চমৎকার শোভা সৃষ্টি করতে পারে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত ও বসন্তে, প্রতিটি মৌসুমে সঠিক যত্ন নিয়ে গাছটির পূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব।
চিত্রা ভেরিগেটেড বাগানবিলাস | Chitra Variegated Bougainvillea | Chitra Variegated Baganbilash
Chitra Variegated Bougainvillea যত্ন:
Chitra Variegated Bougainvillea গাছের যত্ন নেওয়া বেশ সহজ, তবে কিছু মৌলিক বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে:- আলো: Chitra Variegated Bougainvillea গাছ সূর্যের আলো পছন্দ করে। এটি সাধারণত কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা রোদ পেতে চায়। তাই গাছটি এমন স্থানে রোপণ করা উচিত, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে। সূর্যালোকের প্রভাবে গাছটির ফুল আরও সুগন্ধি হয় এবং গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
- মাটি: Chitra Variegated Bougainvillea গাছকে সুষম এবং দ্রুত পানি নিষ্কাশনকারী মাটিতে রোপণ করা উচিত। গাছটি ভারী বা জলাবদ্ধ মাটি পছন্দ করে না। তাই, মাটির আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে মাটির জল ধারণের ক্ষমতা না থাকে। পুষ্টির জন্য কমপ্যাক্ট মাটি বেশি উপযুক্ত।
- জল দেওয়া: গাছটি নিয়মিত জল পছন্দ করে, তবে অতিরিক্ত জল দেবেন না। জল দেওয়ার সময় নিশ্চিত করুন যে মাটি সুষমভাবে আর্দ্র থাকে, কিন্তু অতিরিক্ত জল দেয়া হলে শিকড় পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে মাটি শুকিয়ে যাওয়ার পর জল দেওয়া উচিত, তবে শীতকালে জল কম দিতে হবে।
- সার ও পুষ্টি: গাছটির জন্য সুষম সার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশেষভাবে নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সার পছন্দ করে। ফুলের পরিমাণ এবং গাছের বৃদ্ধির জন্য সাধারণত প্রতি ২-৩ মাসে একবার সার দেওয়া যেতে পারে।
- প্রতিস্থাপন ও কাঁটা: গাছটির শাখাগুলোর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে মাঝে মাঝে শাখা কাটা প্রয়োজন হতে পারে। তবে খুব বেশি শাখা কাটা উচিত নয়, কারণ এটি গাছের সৌন্দর্য এবং ফুলের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে। শাখাগুলোর কাটন রুচিপূর্ণ এবং সঠিক সময়ে করা উচিত।
- রোগ ও পোকার আক্রমণ: Chitra Variegated Bougainvillea গাছ প্রাকৃতিকভাবে খুবই শক্তিশালী, তবে কখনো কখনো এটি aphid বা মাইটের আক্রমণের শিকার হতে পারে। এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গাছের পর্যবেক্ষণ এবং কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
সৌন্দর্য:
Chitra Variegated Bougainvillea গাছের সৌন্দর্য এর ফুলের কারণে সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত। এর রঙিন ফুল, যেমন সাদা, হলুদ, গোলাপি বা লাল, একত্রে এক চমৎকার দৃশ্য তৈরি করে, যা বাগান বা আঙ্গিনাকে সুন্দর করে তোলে। গাছটির ফুলের গন্ধ এতটাই মিষ্টি, যা আশেপাশের পরিবেশকে মনোমুগ্ধকর করে তোলে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে ফুলগুলো বেশি ফুটে থাকে এবং এটি গাছটির সৌন্দর্য এবং রঙিনতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া, গাছটির সবুজ পাতা এবং শক্তিশালী শাখাগুলি বাগানে একটি শান্তিপূর্ণ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে। বাগানবিলাস গাছ শুধুমাত্র দর্শনীয় নয়, বরং এর সৌন্দর্য পরিবেশের মধ্যে প্রশান্তি এবং সুখ এনে দেয়।উপসংহার:
বাগানবিলাস ফুল গাছটি একটি অত্যন্ত সুন্দর এবং সুগন্ধি ফুল গাছ, যা বাগান বা আঙ্গিনায় সৌন্দর্য এবং প্রশান্তি নিয়ে আসে। এর রঙিন ফুল এবং মিষ্টি গন্ধ মানুষকে একটি নির্ভেজাল প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। সঠিক যত্নের মাধ্যমে এই গাছটি দীর্ঘকাল ধরে তার সৌন্দর্য বজায় রাখতে সক্ষম। বাগানবিলাস গাছটি বাগানপ্রেমীদের জন্য এক অত্যন্ত প্রিয় এবং মনোরম ফুল গাছ, যা তাদের বাগানের রূপ এবং সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে।ব্লাক মারিয়া বাগানবিলাস | Black Mariya Bougainvillea
ব্লাক মারিয়া বাগানবিলাস (Black Mariya Bougainvillea) ফুল গাছের বৈশিষ্ট্য
ব্ল্যাক মারিয়া বাগানবিলাস সাধারণ বাগানবিলাসেরই একটি বিশেষ প্রজাতি, যা এর অস্বাভাবিক এবং অত্যাশ্চর্য রঙের জন্য পরিচিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- গভীর, রহস্যময় ব্র্যাক্ট: ব্ল্যাক মোনালিসা বাগানবিলাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর ব্র্যাক্টগুলির রঙ। এটি তীব্র গাঢ় মেরুন থেকে শুরু করে প্রায় কালো বা গভীর বেগুনি আভার হয়। এটি এমন এক গভীরতা সৃষ্টি করে যা অন্য কোনো বাগানবিলাসে দেখা যায় না। আসল ফুলগুলো ছোট এবং সাদা বা হলুদ রঙের হয়, যা এই গাঢ় ব্র্যাক্টগুলির কেন্দ্রে থাকে।
- আকৃতি ও বৃদ্ধি: অন্যান্য বাগানবিলাসের মতোই এটি একটি লতানো গাছ, যা সঠিকভাবে অবলম্বন পেলে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটি বেড়া, দেওয়াল, গেট বা মাচার উপরে সুন্দরভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর ডালপালায় কাঁটা থাকে, যা এটিকে আরোহণে সহায়তা করে।
- পাতা: এর পাতাগুলো সাধারণত গাঢ় সবুজ এবং ডিম্বাকার বা হৃৎপিণ্ডাকার হয়, যা গাঢ় ব্র্যাক্টগুলির সাথে একটি চমৎকার বৈসাদৃশ্য তৈরি করে।
- মৌসুমী বা সারাবছর ফুল: উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায়, যেমন বাংলাদেশের (যেমন বগুড়া, রাজশাহী বিভাগ) মতো স্থানে,
ব্লাক মারিয়া বাগানবিলাস
সারা বছর ধরে ফুল দিতে পারে, যদিও ফুল ফোটার তীব্রতা ঋতুভেদে পরিবর্তিত হয়। এটি নির্দিষ্ট ঋতুতে প্রচুর পরিমাণে ফুল দেয়, যা বাগানকে এক নাটকীয় সৌন্দর্য প্রদান করে। - সহনশীলতা: একবার প্রতিষ্ঠিত হলে এটি যথেষ্ট সহনশীল এবং তুলনামূলকভাবে কম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। এটি খরা পরিস্থিতি সহ্য করতে সক্ষম।
গ্রিন অ্যাপল বাগানবিলাস | Green Apple Bougainvillea
Green Apple Bougainvillea গাছের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ
Green Apple Bougainvillea গাছের যত্ন নেওয়া বেশ সহজ, তবে কিছু বিশেষ দিক খেয়াল রাখলে গাছটি সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে। এখানে মৌসুম অনুযায়ী যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো:
১. মাটি ও অবস্থান
Bougainvillea গাছটি ভাল নিষ্কাশনক্ষম মাটিতে বেড়ে ওঠে। দো-আঁশ বা লাল মাটি এর জন্য উপযুক্ত, যেখানে পানির প্রবাহ ভাল থাকে। মাটি যদি অতিরিক্ত আর্দ্র হয়, তবে গাছের শিকড় পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং, গাছটি এমন স্থানে লাগানো উচিত যেখানে পানি জমে না। এছাড়া, গাছটিকে ভালো সূর্যালোক পাওয়ার জায়গায় রাখুন, কারণ এটি ফুলের জন্য শক্তি অর্জন করে সূর্যের আলো থেকেই।
২. সেচ (Watering)
Bougainvillea গাছ অতিরিক্ত পানি পছন্দ করে না, বরং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি সবচেয়ে ভালো বেড়ে ওঠে। গ্রীষ্মকালে, গাছকে মাঝেমধ্যে জল দিতে হবে, তবে মাটি শুকিয়ে গেলে জল দেয়া উচিত। শীতকালে, বিশেষত ঠান্ডা সময়ে, সেচের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। একদিন পরপর জল দেওয়ার জন্য একটি সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে। অতিরিক্ত জল দেওয়ার ফলে শিকড়ে পচন হতে পারে, তাই অতিরিক্ত জল থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. সার প্রয়োগ (Fertilization)
Green Apple Bougainvillea গাছের ফুল ভালোভাবে ফুটানোর জন্য নিয়মিত সার প্রয়োগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছরে ৩-৪ বার সার দিতে হবে, বিশেষত, ফুল ফোটানোর মৌসুমে। গাছটি ফসফরাস ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সার পছন্দ করে, যা ফুলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে, অতিরিক্ত নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ গাছের শাখা বৃদ্ধি বাড়িয়ে ফুলের সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে। সুতরাং, সার প্রয়োগে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
৪. ছাঁটাই (Pruning)
Bougainvillea গাছের শাখাগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাই এটি নিয়মিত ছাঁটাই করা জরুরি। প্রতিটি শাখা ও শিকড়কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় (সাধারণত শীতকাল) ছাঁটাই করা উচিত। এতে গাছের আকার সুন্দর থাকে এবং নতুন শাখা ও ফুল উৎপাদনের জন্য জায়গা তৈরি হয়। ফুলের চেয়ে বেশি শাখা বৃদ্ধি পাওয়া গাছের ফুলের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে, তাই সঠিক সময়ে ছাঁটাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫. বৈশ্বিক রোগ ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধ
Bougainvillea গাছটি কিছু রোগ ও কীটপতঙ্গ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। পিঁপড়া, পাতার ছিদ্র রোগ বা শুয়োপোকা অন্যতম সমস্যা। গাছের রোগ প্রতিরোধে জৈব কীটনাশক বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা উচিত। রোগের লক্ষণ দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এছাড়া, নিয়মিত গাছের পাতাগুলি পরীক্ষা করা উচিত যেন কোনো ধরনের আক্রমণ না হয়।
মৌসুম অনুযায়ী যত্ন
গ্রীষ্মকাল: গ্রীষ্মকালে, Green Apple Bougainvillea গাছটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ফুল ফোটাতে শুরু করে। এই সময় গাছকে পর্যাপ্ত সূর্যালোক ও পানি দিতে হবে। তবে অতিরিক্ত জল দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ গাছের শিকড় পঁচে যেতে পারে। সার প্রয়োগ করে গাছের ফুলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
শীতকাল: শীতকালে গাছটির বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফুলের পরিমাণও হ্রাস পায়। এই সময়ে সেচ কমিয়ে দিতে হবে এবং সার প্রয়োগের পরিমাণও কমিয়ে দেয়া উচিত। শীতকালে গাছটি ঠান্ডা বাতাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
বর্ষাকাল: বর্ষাকালে, গাছের শিকড়ে অতিরিক্ত জল জমে যেতে পারে, তাই এই সময়ে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার। গাছের চারপাশের জমি পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পানি দ্রুত নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে হবে।
উপসংহার
Green Apple Bougainvillea গাছটি তার রঙিন এবং চমত্কার ফুলের জন্য একটি দৃষ্টিনন্দন উদ্ভিদ। সঠিক যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এটি আপনার বাগান বা বাড়ির চারপাশে অসাধারণ সৌন্দর্য এনে দিতে পারে। মাটি, সেচ, সার, ছাঁটাই এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে মনোযোগ দিলে এই গাছটি সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে এবং আপনাকে বছরের পর বছর সুন্দর ফুল উপহার দিবে।
মিস এলিস বাগানবিলাস | Miss Alice Bougainvillea
Miss Alice Bougainvillea গাছের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ
Miss Alice Bougainvillea গাছের যত্ন নেওয়া বেশ সহজ, তবে কিছু বিশেষ দিক খেয়াল রাখলে গাছটি সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে। এখানে মৌসুম অনুযায়ী যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো:
১. মাটি ও অবস্থান
Bougainvillea গাছটি ভাল নিষ্কাশনক্ষম মাটিতে বেড়ে ওঠে। দো-আঁশ বা লাল মাটি এর জন্য উপযুক্ত, যেখানে পানির প্রবাহ ভাল থাকে। মাটি যদি অতিরিক্ত আর্দ্র হয়, তবে গাছের শিকড় পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং, গাছটি এমন স্থানে লাগানো উচিত যেখানে পানি জমে না। এছাড়া, গাছটিকে ভালো সূর্যালোক পাওয়ার জায়গায় রাখুন, কারণ এটি ফুলের জন্য শক্তি অর্জন করে সূর্যের আলো থেকেই।
২. সেচ (Watering)
Bougainvillea গাছ অতিরিক্ত পানি পছন্দ করে না, বরং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি সবচেয়ে ভালো বেড়ে ওঠে। গ্রীষ্মকালে, গাছকে মাঝেমধ্যে জল দিতে হবে, তবে মাটি শুকিয়ে গেলে জল দেয়া উচিত। শীতকালে, বিশেষত ঠান্ডা সময়ে, সেচের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। একদিন পরপর জল দেওয়ার জন্য একটি সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে। অতিরিক্ত জল দেওয়ার ফলে শিকড়ে পচন হতে পারে, তাই অতিরিক্ত জল থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. সার প্রয়োগ (Fertilization)
Miss Alice Bougainvillea গাছের ফুল ভালোভাবে ফুটানোর জন্য নিয়মিত সার প্রয়োগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছরে ৩-৪ বার সার দিতে হবে, বিশেষত, ফুল ফোটানোর মৌসুমে। গাছটি ফসফরাস ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সার পছন্দ করে, যা ফুলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে, অতিরিক্ত নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ গাছের শাখা বৃদ্ধি বাড়িয়ে ফুলের সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে। সুতরাং, সার প্রয়োগে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
৪. ছাঁটাই (Pruning)
Bougainvillea গাছের শাখাগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাই এটি নিয়মিত ছাঁটাই করা জরুরি। প্রতিটি শাখা ও শিকড়কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় (সাধারণত শীতকাল) ছাঁটাই করা উচিত। এতে গাছের আকার সুন্দর থাকে এবং নতুন শাখা ও ফুল উৎপাদনের জন্য জায়গা তৈরি হয়। ফুলের চেয়ে বেশি শাখা বৃদ্ধি পাওয়া গাছের ফুলের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে, তাই সঠিক সময়ে ছাঁটাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫. বৈশ্বিক রোগ ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধ
Bougainvillea গাছটি কিছু রোগ ও কীটপতঙ্গ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। পিঁপড়া, পাতার ছিদ্র রোগ বা শুয়োপোকা অন্যতম সমস্যা। গাছের রোগ প্রতিরোধে জৈব কীটনাশক বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা উচিত। রোগের লক্ষণ দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এছাড়া, নিয়মিত গাছের পাতাগুলি পরীক্ষা করা উচিত যেন কোনো ধরনের আক্রমণ না হয়।
মৌসুম অনুযায়ী যত্ন
গ্রীষ্মকাল: গ্রীষ্মকালে, Miss Alice Bougainvillea গাছটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ফুল ফোটাতে শুরু করে। এই সময় গাছকে পর্যাপ্ত সূর্যালোক ও পানি দিতে হবে। তবে অতিরিক্ত জল দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ গাছের শিকড় পঁচে যেতে পারে। সার প্রয়োগ করে গাছের ফুলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
শীতকাল: শীতকালে গাছটির বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফুলের পরিমাণও হ্রাস পায়। এই সময়ে সেচ কমিয়ে দিতে হবে এবং সার প্রয়োগের পরিমাণও কমিয়ে দেয়া উচিত। শীতকালে গাছটি ঠান্ডা বাতাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
বর্ষাকাল: বর্ষাকালে, গাছের শিকড়ে অতিরিক্ত জল জমে যেতে পারে, তাই এই সময়ে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার। গাছের চারপাশের জমি পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পানি দ্রুত নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে হবে।
উপসংহার
Miss Alice Bougainvillea গাছটি তার রঙিন এবং চমত্কার ফুলের জন্য একটি দৃষ্টিনন্দন উদ্ভিদ। সঠিক যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এটি আপনার বাগান বা বাড়ির চারপাশে অসাধারণ সৌন্দর্য এনে দিতে পারে। মাটি, সেচ, সার, ছাঁটাই এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে মনোযোগ দিলে এই গাছটি সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে এবং আপনাকে বছরের পর বছর সুন্দর ফুল উপহার দিবে।
ড্রাগিন ফ্লেম পিংক বাগানবিলাস গ্রাফটেড | Dragon Flame Pink Baganbilash Grafted | Dragon Flame Pink Bougainvillea | Rare Variety Bougainvillea | Rare Variety Baganbilash
চিলি রেড ভ্যারিগেটেড বাগানবিলাস | Chili Red Variegated Baganbilash | Chili Red Variegated Bougainvillea
Doble Kara Baganbilash Grafted | ডোবেল কারা বাগানবিলাস | | Doble Kara Bougainvillea | Rare Variety Bougainvillea
Doble Kara Baganbilash অপরিহার্য যত্ন ও পরিচর্যা
আপনার Doble Kara Baganbilash থেকে দীর্ঘ সময় ধরে চমৎকার ফুল পেতে হলে সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা অপরিহার্য।
১. সূর্যালোকের প্রয়োজনীয়তা
পূর্ণ সূর্যালোক অত্যাবশ্যক। Doble Kara Baganbilash প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যালোক পেলে সবচেয়ে ভালোভাবে বৃদ্ধি পায় এবং প্রচুর ফুল দেয়। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে গাছের বৃদ্ধি দুর্বল হয়ে যায় এবং ফুলের সংখ্যা অনেক কমে যায়। ছায়াযুক্ত স্থানে রাখলে গাছ শুধুমাত্র পাতার বৃদ্ধিকে প্রাধান্য দেবে, ফুলের চেয়ে।
২. জল দেওয়া
- প্রতিষ্ঠিত গাছ: একবার প্রতিষ্ঠিত হলে বাগানবিলাস খরা-সহনশীল হয়ে ওঠে। জল দেওয়ার সময় গভীর করে জল দিন, তবে মাটির উপরের স্তর সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে গেলে তবেই আবার জল দিন। অতিরিক্ত জল দেওয়া একটি সাধারণ ভুল, যা শিকড় পচিয়ে দিতে পারে এবং ফুলের সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
- নতুন চারা: তরুণ চারাগুলির জন্য শিকড় ভালোভাবে বিকশিত না হওয়া পর্যন্ত আরও নিয়মিত জল দেওয়া প্রয়োজন।
- ফুল ফোটার সময়: ফুল ফোটার সময় গাছ যেন অতিরিক্ত শুষ্কতার শিকার না হয়, কারণ এতে ব্র্যাক্টগুলো অকালে ঝরে পড়তে পারে।
৩. মাটি ও নিষ্কাশন
ভালো নিষ্কাশনযুক্ত মাটি অত্যাবশ্যক। বাগানবিলাস সামান্য অম্লীয় থেকে নিরপেক্ষ মাটি (pH ৫.৫-৬.৫) পছন্দ করে। জৈব পদার্থ মিশ্রিত বেলে দোআঁশ মাটি আদর্শ। অতিরিক্ত জল ধারণকারী ভারী, এঁটেল মাটি এড়িয়ে চলুন। যদি টবে লাগান, তবে চমৎকার নিষ্কাশন ক্ষমতা সম্পন্ন ভালো মানের পটিং মিক্স ব্যবহার করুন।
৪. সার প্রয়োগ
- পরিমিত সার: Doble Kara Baganbilash জন্য নিয়মিত, তবে অতিরিক্ত নয়, সার প্রয়োগ উপকারী।
- ভারসাম্যপূর্ণ সার: ফুলের উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে কম নাইট্রোজেনযুক্ত ভারসাম্যপূর্ণ সার (যেমন: ৫-১০-৫ বা ১০-২০-১০) ব্যবহার করুন। নাইট্রোজেন বেশি হলে পাতা বেশি হয়, ফুল কম আসে।
- প্রয়োগ: বৃদ্ধি এবং ফুল ফোটার মৌসুমে প্রতি ৪-৬ সপ্তাহে একবার সার প্রয়োগ করুন। গাছের সুপ্তাবস্থায় সার প্রয়োগ কমিয়ে দিন বা বন্ধ রাখুন।
- ক্ষুদ্র উপাদান: নিশ্চিত করুন যে সারটিতে আয়রনের মতো ক্ষুদ্র উপাদান রয়েছে, বিশেষ করে যদি পাতায় হলুদ হয়ে যাওয়ার (ক্লোরোসিস) লক্ষণ দেখা যায়।
৫. কীটপতঙ্গ ও রোগ ব্যবস্থাপনা
দোবলে কারা বাগানবিলাস তুলনামূলকভাবে কীটপতঙ্গ প্রতিরোধী। তবে, কিছু ক্ষেত্রে নিম্নলিখিতগুলি দেখা যেতে পারে:
- অ্যাফিড এবং মিলিবাগ: এগুলি কীটনাশক সাবান বা নিম তেল দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে।
- শূককীট: হাত দিয়ে তুলে ফেলুন বা উপযুক্ত জৈব নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
- ছত্রাকজনিত সমস্যা: অতিরিক্ত জল দিলে শিকড় পচা বা অন্যান্য ছত্রাকজনিত রোগ হতে পারে। ভালো বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন।
উপসংহার
Doble Kara Baganbilash একটি মুগ্ধকর উদ্ভিদ যা তার ডাবল ব্র্যাক্টের কারণে আপনার বাগানে এক অসাধারণ আকর্ষণ যোগ করতে পারে। একবার এটি স্থাপিত হয়ে গেলে এর রক্ষণাবেক্ষণ তুলনামূলকভাবে সহজ। পর্যাপ্ত সূর্যালোক, ভালো নিষ্কাশনযুক্ত মাটি, সঠিক জল সরবরাহ এবং নিয়মিত ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার দোবলে কারা বাগানবিলাসকে সফলভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করতে পারেন। এটি আপনার বাগানের এক শ্বাসরুদ্ধকর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে, যা আপনার প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে।
স্পেকট্রাম বাগানবিলাস | Spectrum Baganbilash | Spectrum Bougainvillea
রক্ষণাবেক্ষণ, যত্ন ও পরিচর্যা (Care and Maintenance):
Spectrum Baganbilash কে সুস্থ রাখতে এবং প্রচুর ফুল ফোটাতে কিছু নির্দিষ্ট যত্নের প্রয়োজন হয়।
-
সূর্যের আলো (Sunlight):
- বাগানবিলাস সম্পূর্ণ সূর্যালোক পছন্দ করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪-৬ ঘণ্টা সরাসরি রোদ পেলে গাছটি সবচেয়ে ভালো ফুল দেয়।
- কম আলোতে রাখলে গাছ বেড়ে উঠবে কিন্তু ফুলের পরিমাণ কমে যাবে বা একেবারেই ফুল আসবে না।
-
মাটি (Soil):
- এই গাছটি হালকা, ঝুরঝুরে এবং ভালো নিষ্কাশনযুক্ত মাটি পছন্দ করে।
- দোআঁশ মাটি, বালি এবং জৈব সারের মিশ্রণ এই গাছের জন্য আদর্শ। টবে লাগানোর ক্ষেত্রে ৫০% সাধারণ মাটি, ৩০% গোবর সার বা ভার্মিকম্পোস্ট এবং ২০% বালি মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে পারেন।
- বাগানবিলাস রুট বাউন্ড (root bound) থাকতে ভালোবাসে, অর্থাৎ ছোট টবে শিকড়গুলো ভালোভাবে জড়িয়ে থাকলে এটি আরও বেশি ফুল দেয়। তাই নতুন চারা লাগানোর সময় খুব বেশি বড় টবে না দিয়ে ছোট টবে (৬-৭ ইঞ্চি) শুরু করা ভালো। ২-৩ বছর পর ধীরে ধীরে টবের আকার বাড়াতে পারেন।
-
জল (Watering):
- বাগানবিলাস অতিরিক্ত জল পছন্দ করে না। মাটি ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিন।
- মাটি ভেজা ভেজা থাকলে ফুল আসার সম্ভাবনা কমে যায়। বরং, মাটি কিছুটা শুষ্ক হয়ে পাতা ঝিমিয়ে পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে তারপর জল দিলে ফুল বেশি আসে।
- অতিরিক্ত জল দিলে শিকড় পচে যেতে পারে এবং গাছ মারা যেতে পারে।
-
সার প্রয়োগ (Fertilization):
- Spectrum Baganbilash বেশ "পেটুক" গাছ। এটি নিয়মিত সার পছন্দ করে।
- মাসে একবার সুষম সার বা জৈব সার প্রয়োগ করুন।
- ১২ ইঞ্চির টবের জন্য এক মুঠো গোবর সার বা ভার্মিকম্পোস্ট, ১ টেবিল চামচ করে হাড় গুঁড়ো, শিং কুচি, নিম খোল এবং সরিষার খোল মিশিয়ে দিতে পারেন।
- ফুল বেশি পেতে পটাশ সমৃদ্ধ সার গুরুত্বপূর্ণ। কলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে ১ চামচ করে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন।
- ফুলের কুঁড়ি আসার আগে বা ফুল ফোটার সময় ফসফরাস এবং পটাশ সমৃদ্ধ সার দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
-
ছাঁটাই (Pruning):
- নিয়মিত ছাঁটাই Spectrum Baganbilash গাছের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি গাছকে ঝোপালো করে এবং নতুন শাখা-প্রশাখা গজাতে সাহায্য করে, যেখানে নতুন ফুল আসে।
- ফুল শেষ হওয়ার পর ডালপালা ছাঁটাই করুন।
- গাছের কচি ডালের মাথার দিকের ২-৩টি পাতা পিঞ্চিং (খুঁটে দেওয়া) করলে গাছ ঝাঁকড়া হয় এবং বেশি ফুল আসে।
- বর্ষার পরে এবং শীতকালের শুরুতে ছাঁটাই করা ভালো।
-
রোগ ও পোকা (Pest and Diseases):
- Spectrum Baganbilash সাধারণত খুব বেশি রোগ বা পোকার আক্রমণ দেখা যায় না।
- তবে মাঝে মাঝে মিলিবাগ বা এফিড দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে নিম তেল স্প্রে করতে পারেন বা সাবান জল দিয়ে ধুয়ে দিতে পারেন।
- নিয়মিত গাছ পর্যবেক্ষণ করুন এবং কোনো সমস্যা দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
-
সহায়ক কাঠামো (Support):
- লতানো গাছ হওয়ায় এটি বাড়তে থাকলে একে অবলম্বন (যেমন: দেয়াল, মাচা, খুঁটি) দিলে সুন্দরভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ডেলিমা ইয়োলো বাগানবিলাস গ্রাফটেড | Dalima yellow Baganbilash Grafted | Dalima yellow Bougainvillea Grafted
মৌসুম অনুযায়ী যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ (Seasonal Care & Maintenance)
ডালিমা ইয়েলো বাগানবিলাসের যত্ন তুলনামূলকভাবে সহজ, তবে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় মাথায় রাখলে এটি সারা বছর প্রচুর ফুল দেবে। বাংলাদেশের আবহাওয়া বিবেচনা করে এর যত্ন নিচে দেওয়া হলো:
গ্রীষ্মকাল (Summer: মার্চ - মে)
- সূর্যের আলো: গ্রীষ্মকালে পূর্ণ সূর্যালোক নিশ্চিত করুন। এটি সূর্যের আলো ভালোবাসে এবং পর্যাপ্ত আলোতে এর ফুল সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়।
- জল: এই সময় নিয়মিত জল দেওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে নতুন চারা এবং টবে লাগানো গাছের জন্য। মাটি শুকিয়ে গেলে গভীরভাবে জল দিন, তবে অতিরিক্ত জল দেবেন না, কারণ এটি শিকড় পচিয়ে দিতে পারে। সকালে জল দেওয়া সবচেয়ে ভালো।
- সার: গ্রীষ্মকালে উদ্ভিদের সক্রিয় বৃদ্ধির সময়। প্রতি ১৫-২০ দিন অন্তর একবার উচ্চ পটাশিয়াম (high-potash) যুক্ত তরল সার (liquid fertilizer) প্রয়োগ করুন। এটি ফুল ফোটাতে সাহায্য করে এবং ব্র্যাক্টের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।
- ছাঁটাই (Pruning): হালকা ছাঁটাই করে গাছকে কাঙ্ক্ষিত আকার দিন এবং পুরনো বা মরা ডালপালা সরিয়ে ফেলুন। ফুল ফোঁটার পর ছাঁটাই করলে নতুন ফুল দ্রুত আসবে।
বর্ষাকাল (Monsoon: জুন - সেপ্টেম্বর)
- জল: বর্ষাকালে প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের কারণে অতিরিক্ত জল দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে, যদি দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হয়, তবে প্রয়োজন অনুযায়ী জল দিন। ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা (drainage) নিশ্চিত করুন, কারণ বাগানবিলাস গোড়ায় জল জমা সহ্য করতে পারে না।
- সার: বর্ষার সময় সারের প্রয়োজনীয়তা কিছুটা কম হয়, কারণ বৃষ্টিতে সার ধুয়ে যেতে পারে। তবে, যদি মাঝে মাঝে রোদ ওঠে, তবে হালকা মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে পারেন।
- রোগ ও পোকামাকড়: বর্ষায় ছত্রাকঘটিত রোগের প্রবণতা বাড়তে পারে। পাতা হলুদ হওয়া বা পচন দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন এবং প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক (fungicide) ব্যবহার করুন।
শরৎকাল (Autumn: অক্টোবর - নভেম্বর)
- জল: এই সময় জলের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে দিন। মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিন।
- সার: এই সময়েও হালকা মাত্রায় সার দেওয়া যেতে পারে, যা শীতকালে সম্ভাব্য ফুল ফোটার জন্য গাছকে প্রস্তুত করবে।
- ছাঁটাই: শরৎকালের শেষে হালকা ছাঁটাই করে গাছের অতিরিক্ত বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করুন এবং মৃত বা অসুস্থ ডালপালা সরিয়ে ফেলুন।
শীতকাল (Winter: ডিসেম্বর - ফেব্রুয়ারি)
- জল: শীতকালে ডালিমা ইয়েলো বাগানবিলাসের জলের প্রয়োজন সবচেয়ে কম থাকে। মাটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে অল্প পরিমাণে জল দিন। অতিরিক্ত জল এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি শিকড় পচনের কারণ হতে পারে।
- সার: এই সময় সাধারণত সার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না, কারণ গাছ সুপ্তাবস্থায় (dormant) থাকে।
- ছাঁটাই: এই সময়ে গুরুতর ছাঁটাই এড়িয়ে চলুন। বসন্তের ঠিক আগে হালকা ছাঁটাই করে গাছের আকার ঠিক করতে পারেন।
- ঠান্ডা থেকে রক্ষা: যদিও এটি উষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ করে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তীব্র শীতকালে গাছকে ঠান্ডা বাতাস বা অতিরিক্ত কুয়াশা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করুন। টবে লাগানো গাছকে রাতে উষ্ণ স্থানে রাখতে পারেন।
সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণ টিপস
- মাটি: ভালো নিষ্কাশন ক্ষমতাসম্পন্ন দোআঁশ মাটি (loamy soil) বা বালুকাময় দোআঁশ মাটি বাগানবিলাসের জন্য সবচেয়ে ভালো। মাটির pH কিছুটা অম্লীয় (৫.৫ থেকে ৬.৫) হলে ভালো হয়।
- টবে চাষ: টবে চাষ করার সময় বড় আকারের টব ব্যবহার করুন এবং টবের নিচে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ছিদ্র (drainage holes) আছে কিনা নিশ্চিত করুন।
- স্থানান্তর: বাগানবিলাস শিকড় ডিস্টার্ব করা পছন্দ করে না। একবার লাগানোর পর ঘন ঘন স্থানান্তরের চেষ্টা করবেন না। টবে লাগানোর সময়ও শিকড়ের বল (root ball) অক্ষত রাখার চেষ্টা করুন।
- পোকামাকড় ও রোগ: বাগানবিলাস সাধারণত রোগ ও পোকামাকড়ের প্রতি বেশ প্রতিরোধী। তবে, মাঝে মাঝে মেলি বাগ (mealybugs) বা এফিড (aphids) দেখা যেতে পারে। সাবান জল বা নিম তেল স্প্রে করে এগুলি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ছত্রাকঘটিত রোগের ক্ষেত্রে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ভালো রাখুন এবং প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক ব্যবহার করুন।
- ফুল না ফোটার কারণ: পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাব, অতিরিক্ত নাইট্রোজেনযুক্ত সার (যা পাতা বৃদ্ধি করে, ফুল নয়), অতিরিক্ত জল দেওয়া বা ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন ফুল না ফোটার কারণ হতে পারে।
ডালিমা ইয়েলো বাগানবিলাস তার উজ্জ্বল হলুদ ব্র্যাক্ট দিয়ে আপনার বাগানকে জীবন্ত করে তুলতে পারে। সঠিক যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এটি সারা বছর আপনার চোখে আনন্দ জোগাবে।
অরেঞ্জ ভেলভেট বাগানবিলাস | Orange Velvet Bougainvillea | Orange Velvet Baganbilash
মৌসুম অনুযায়ী যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ (Seasonal Care & Maintenance)
স্প্ল্যাশ ভ্যারিগেটেড বোগেনভিলিয়ার যত্ন তুলনামূলকভাবে সহজ, তবে এর পাতার বৈচিত্র্য এবং গ্রাফটেড প্রকৃতির কারণে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন।
গ্রীষ্মকাল (Summer: মার্চ - মে)
- সূর্যের আলো: গ্রীষ্মকালে পূর্ণ সূর্যালোক নিশ্চিত করুন। পর্যাপ্ত আলো পাতার বৈচিত্র্যকে আরও উজ্জ্বল করে এবং প্রচুর ফুল ফোটাতে সাহায্য করে।
- জল: এই সময় নিয়মিত জল দেওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে নতুন চারা এবং টবে লাগানো গাছের জন্য। মাটি শুকিয়ে গেলে গভীরভাবে জল দিন, তবে খেয়াল রাখবেন যেন গাছের গোড়ায় জল জমে না থাকে। সকালের দিকে জল দেওয়া সবচেয়ে ভালো।
- সার: এটি সক্রিয় বৃদ্ধির সময়। প্রতি ১৫-২০ দিন অন্তর একবার উচ্চ পটাশিয়াম (high-potash) যুক্ত তরল সার (liquid fertilizer) প্রয়োগ করুন। এটি ফুল ফোটাতে সাহায্য করে এবং পাতার বৈচিত্র্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। গ্রাফটিংয়ের কারণে গাছের পুষ্টি চাহিদা কিছুটা বেশি হতে পারে।
- ছাঁটাই (Pruning): হালকা ছাঁটাই করে গাছকে কাঙ্ক্ষিত আকার দিন এবং পুরনো বা মরা ডালপালা সরিয়ে ফেলুন। ফুল ফোঁটার পর ছাঁটাই করলে নতুন ফুল দ্রুত আসবে। গ্রাফটেড গাছের ক্ষেত্রে স্টক (stock) থেকে বের হওয়া যেকোনো ডালপালা ছেঁটে ফেলুন, কারণ সেগুলো মূল জাতের বৈশিষ্ট্য নষ্ট করতে পারে।
বর্ষাকাল (Monsoon: জুন - সেপ্টেম্বর)
- জল: বর্ষাকালে প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের কারণে অতিরিক্ত জল দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে, যদি দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হয়, তবে প্রয়োজন অনুযায়ী জল দিন। ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা (drainage) নিশ্চিত করুন, কারণ বোগেনভিলিয়া গোড়ায় জল জমা সহ্য করতে পারে না।
- সার: বর্ষার সময় সারের প্রয়োজনীয়তা কিছুটা কম হয়, কারণ বৃষ্টিতে সার ধুয়ে যেতে পারে। তবে, যদি মাঝে মাঝে রোদ ওঠে, তবে হালকা মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে পারেন।
- রোগ ও পোকামাকড়: বর্ষায় ছত্রাকঘটিত রোগের প্রবণতা বাড়তে পারে। পাতা হলুদ হওয়া বা পচন দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন এবং প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক (fungicide) ব্যবহার করুন।
- গ্রাফটেড জয়েন্ট: গ্রাফটেড জয়েন্টের (graft union) দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। বর্ষায় অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে এখানে ছত্রাক বা পচন ধরতে পারে।
শরৎকাল (Autumn: অক্টোবর - নভেম্বর)
- জল: এই সময় জলের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে দিন। মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিন।
- সার: এই সময়েও হালকা মাত্রায় সার দেওয়া যেতে পারে, যা শীতকালে সম্ভাব্য ফুল ফোটার জন্য গাছকে প্রস্তুত করবে।
- ছাঁটাই: শরৎকালের শেষে হালকা ছাঁটাই করে গাছের অতিরিক্ত বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করুন এবং মৃত বা অসুস্থ ডালপালা সরিয়ে ফেলুন।
শীতকাল (Winter: ডিসেম্বর - ফেব্রুয়ারি)
- জল: শীতকালে স্প্ল্যাশ ভ্যারিগেটেড বোগেনভিলিয়ার জলের প্রয়োজন সবচেয়ে কম থাকে। মাটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে অল্প পরিমাণে জল দিন। অতিরিক্ত জল এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি শিকড় পচনের কারণ হতে পারে।
- সার: এই সময় সাধারণত সার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না, কারণ গাছ সুপ্তাবস্থায় (dormant) থাকে।
- ছাঁটাই: এই সময়ে গুরুতর ছাঁটাই এড়িয়ে চলুন। বসন্তের ঠিক আগে হালকা ছাঁটাই করে গাছের আকার ঠিক করতে পারেন।
- ঠান্ডা থেকে রক্ষা: যদিও বোগেনভিলিয়া উষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ করে, বাংলাদেশে তীব্র শীতকালে গাছকে ঠান্ডা বাতাস বা অতিরিক্ত কুয়াশা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করুন। টবে লাগানো গাছকে রাতে উষ্ণ স্থানে রাখতে পারেন।
স্প্ল্যাশ ভ্যারিগ্রেটেড বাগানবিলাস | Splash Variegated Bougainvillea (Grafted)
মৌসুম অনুযায়ী যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ (Seasonal Care & Maintenance)
স্প্ল্যাশ ভ্যারিগেটেড বোগেনভিলিয়ার যত্ন তুলনামূলকভাবে সহজ, তবে এর পাতার বৈচিত্র্য এবং গ্রাফটেড প্রকৃতির কারণে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন।
গ্রীষ্মকাল (Summer: মার্চ - মে)
- সূর্যের আলো: গ্রীষ্মকালে পূর্ণ সূর্যালোক নিশ্চিত করুন। পর্যাপ্ত আলো পাতার বৈচিত্র্যকে আরও উজ্জ্বল করে এবং প্রচুর ফুল ফোটাতে সাহায্য করে।
- জল: এই সময় নিয়মিত জল দেওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে নতুন চারা এবং টবে লাগানো গাছের জন্য। মাটি শুকিয়ে গেলে গভীরভাবে জল দিন, তবে খেয়াল রাখবেন যেন গাছের গোড়ায় জল জমে না থাকে। সকালের দিকে জল দেওয়া সবচেয়ে ভালো।
- সার: এটি সক্রিয় বৃদ্ধির সময়। প্রতি ১৫-২০ দিন অন্তর একবার উচ্চ পটাশিয়াম (high-potash) যুক্ত তরল সার (liquid fertilizer) প্রয়োগ করুন। এটি ফুল ফোটাতে সাহায্য করে এবং পাতার বৈচিত্র্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। গ্রাফটিংয়ের কারণে গাছের পুষ্টি চাহিদা কিছুটা বেশি হতে পারে।
- ছাঁটাই (Pruning): হালকা ছাঁটাই করে গাছকে কাঙ্ক্ষিত আকার দিন এবং পুরনো বা মরা ডালপালা সরিয়ে ফেলুন। ফুল ফোঁটার পর ছাঁটাই করলে নতুন ফুল দ্রুত আসবে। গ্রাফটেড গাছের ক্ষেত্রে স্টক (stock) থেকে বের হওয়া যেকোনো ডালপালা ছেঁটে ফেলুন, কারণ সেগুলো মূল জাতের বৈশিষ্ট্য নষ্ট করতে পারে।
বর্ষাকাল (Monsoon: জুন - সেপ্টেম্বর)
- জল: বর্ষাকালে প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের কারণে অতিরিক্ত জল দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে, যদি দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হয়, তবে প্রয়োজন অনুযায়ী জল দিন। ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা (drainage) নিশ্চিত করুন, কারণ বোগেনভিলিয়া গোড়ায় জল জমা সহ্য করতে পারে না।
- সার: বর্ষার সময় সারের প্রয়োজনীয়তা কিছুটা কম হয়, কারণ বৃষ্টিতে সার ধুয়ে যেতে পারে। তবে, যদি মাঝে মাঝে রোদ ওঠে, তবে হালকা মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে পারেন।
- রোগ ও পোকামাকড়: বর্ষায় ছত্রাকঘটিত রোগের প্রবণতা বাড়তে পারে। পাতা হলুদ হওয়া বা পচন দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন এবং প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক (fungicide) ব্যবহার করুন।
- গ্রাফটেড জয়েন্ট: গ্রাফটেড জয়েন্টের (graft union) দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। বর্ষায় অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে এখানে ছত্রাক বা পচন ধরতে পারে।
শরৎকাল (Autumn: অক্টোবর - নভেম্বর)
- জল: এই সময় জলের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে দিন। মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিন।
- সার: এই সময়েও হালকা মাত্রায় সার দেওয়া যেতে পারে, যা শীতকালে সম্ভাব্য ফুল ফোটার জন্য গাছকে প্রস্তুত করবে।
- ছাঁটাই: শরৎকালের শেষে হালকা ছাঁটাই করে গাছের অতিরিক্ত বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করুন এবং মৃত বা অসুস্থ ডালপালা সরিয়ে ফেলুন।
শীতকাল (Winter: ডিসেম্বর - ফেব্রুয়ারি)
- জল: শীতকালে স্প্ল্যাশ ভ্যারিগেটেড বোগেনভিলিয়ার জলের প্রয়োজন সবচেয়ে কম থাকে। মাটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে অল্প পরিমাণে জল দিন। অতিরিক্ত জল এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি শিকড় পচনের কারণ হতে পারে।
- সার: এই সময় সাধারণত সার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না, কারণ গাছ সুপ্তাবস্থায় (dormant) থাকে।
- ছাঁটাই: এই সময়ে গুরুতর ছাঁটাই এড়িয়ে চলুন। বসন্তের ঠিক আগে হালকা ছাঁটাই করে গাছের আকার ঠিক করতে পারেন।
- ঠান্ডা থেকে রক্ষা: যদিও বোগেনভিলিয়া উষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ করে, বাংলাদেশে তীব্র শীতকালে গাছকে ঠান্ডা বাতাস বা অতিরিক্ত কুয়াশা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করুন। টবে লাগানো গাছকে রাতে উষ্ণ স্থানে রাখতে পারেন।
স্প্ল্যাশ ভ্যারিগেটেড বোগেনভিলিয়া তার আকর্ষণীয় পাতার বৈচিত্র্য এবং উজ্জ্বল ফুলের সংমিশ্রণে আপনার বাগানে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। সঠিক যত্ন ও গ্রাফটেড প্রকৃতির প্রতি মনোযোগ দিলে এটি সারা বছর আপনার মন মুগ্ধ করে রাখবে।
















