300.00৳
Subtotal: 300.00৳
Total Weight: 2 kg
300.00৳
Subtotal: 300.00৳
Total Weight: 2 kg

Nursery Cement Bag 6×6 inch
Mancer Fungicide 75 WP | ম্যানসার ফাঙ্গিসাইডে
ঝিলিক কাটামুকুট | Jhilik Katamukut | Crown of Thorns
Jhilik Katamukut মৌসুম অনুযায়ী যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ:
Jhilik Katamukut ফুল গাছের যত্ন নেওয়া বেশ সহজ, তবে এর পূর্ণ বিকাশের জন্য কিছু মৌলিক বিষয় মনে রাখতে হবে।
১. গ্রীষ্মকাল (জুন থেকে আগস্ট):
গ্রীষ্মকাল Jhilik Katamukut গাছের জন্য একটি সক্রিয় সময়, কারণ এই সময় গাছটি প্রচুর ফুল দেয়। এই সময়ে গাছের যত্নের জন্য নিম্নলিখিত কিছু বিষয় অনুসরণ করা উচিত:
- জল প্রদান: গ্রীষ্মকালে গাছের মাটি দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়, তাই নিয়মিত পানি দিতে হবে। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে পানি দেয়া উচিত, তবে অতিরিক্ত জল সঞ্চিত না হওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
- সার প্রদান: গ্রীষ্মে গাছের ফুল ফোটানোর জন্য ভালো সার প্রয়োজন। নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম যুক্ত সার গাছকে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখে। তবে সার দেয়ার সময় অতিরিক্ত পরিমাণে সার না দেওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে গাছের শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
- সূর্যের আলো: গাছটিকে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি গাছের ফুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। তবে খুব গরমে সরাসরি সূর্যতাপ থেকে গাছটি রক্ষা করতে হবে।
২. বর্ষাকাল (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর):
বর্ষাকালে Jhilik Katamukut ফুল গাছের যত্ন নেয়া একটু ভিন্ন হতে পারে কারণ এই সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। কিছু বিশেষ যত্ন নিতে হবে:
- জল নিস্কাশন: বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় মাটিতে পানি জমে যেতে পারে। তাই গাছের পাত্র বা মাটির নিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে পানি আটকে না থাকে।
- ছেঁটে ফেলা: গাছের শাখা-প্রশাখা ছেঁটে ফেলা ভালো, যাতে গাছটি সঠিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পোকামাকড় বা ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।
- ফুলের পরিচর্যা: বর্ষাকালে ফুল ফোটে কিন্তু মাটির ভেজা অবস্থা ফুলের ক্ষতি করতে পারে। অতএব, ফুলগুলো যেন অক্ষত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩. শীতকাল (ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি):
শীতকাল Jhilik Katamukut ফুল গাছের জন্য অপেক্ষাকৃত শান্ত সময়, কারণ ফুল কম ফোটে। তবে শীতকালেও কিছু মৌলিক যত্ন নেয়া প্রয়োজন:
- হালকা জল প্রদান: শীতকালে গাছের তাপমাত্রা কম থাকে, তাই জল দেয়ার পরিমাণ একটু কমানো উচিত। গাছের মাটি শুকিয়ে গেলে পরিমিত পানি দিতে হবে।
- গাছের বৃদ্ধির মনিটরিং: শীতকাল গাছের বৃদ্ধির জন্য স্বাভাবিক সময়, তাই শাখা-প্রশাখা শুষ্ক বা মৃত অংশগুলি কাটতে হবে।
৪. অন্যান্য যত্ন:
- পোকামাকড়ের দমন: ঝিলিক কাটামুকুট গাছের পাতা এবং ফুলে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে। তাই সময়ে সময়ে গাছের পাতাগুলি পরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
- অতিরিক্ত শাখা কাটুন: গাছটি অপ্রয়োজনীয় শাখা এবং পাতা বৃদ্ধি করে থাকলে তা ছেঁটে ফেলতে হবে, যাতে গাছটি সুস্থভাবে বিকশিত হয়।
উপসংহার:
Jhilik Katamukut ফুল গাছের সঠিক যত্ন নেয়ার জন্য মৌসুম অনুযায়ী মনোযোগী হওয়া জরুরি। গ্রীষ্মকালে ফুলের ভরপুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে নিয়মিত পানি দেয়া, সূর্যের আলো নিশ্চিত করা এবং সারের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। বর্ষাকালে জল নিস্কাশন এবং শীতকালে কম পানি প্রদান করলে গাছটি সুস্থ থাকে এবং দীর্ঘদিন ফুল ফোটাতে সক্ষম হয়। সঠিক যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ গাছটিকে প্রাণবন্ত এবং সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
রক্ত কাটামুকুট | Rokto Katamukut | Crown of Thorns
Rokto Katamukut মৌসুম অনুযায়ী যত্ন
রক্ত কাটামুকুট গাছ সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ফুল গাছ হিসাবে পরিচিত হলেও, সারা বছরই এটি ফুল দেয় যদি সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হয়। তবে, গাছটির ফুলের পিক মৌসুম গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে হয়ে থাকে।
-
গ্রীষ্মকাল: গ্রীষ্মকালে রক্ত কাটামুকুট গাছকে তাপ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে, তীব্র রোদে গাছটি বেশি দিন রাখা উচিত নয়। গ্রীষ্মকালে গাছের জন্য পর্যাপ্ত পানি দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাছটি যদি তাপমাত্রার কারণে শুষ্ক হয়ে যায়, তবে পাতা শুকিয়ে যেতে পারে বা ফুলও কম হতে পারে। সুতরাং, গাছটির রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ মনোযোগ দিন। এই সময় গাছের সার প্রয়োগ করা উচিত যাতে গাছটি ভালভাবে বেড়ে ওঠে এবং ভালো ফুল দেয়।
-
বর্ষাকাল: বর্ষাকালে গাছটির জন্য পর্যাপ্ত জল দরকার, কারণ মাটির আর্দ্রতা বৃদ্ধির ফলে এটি আরও ভালভাবে বেড়ে ওঠে। তবে, অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা থেকে গাছটি রক্ষা করতে হবে। তাই বর্ষার সময়ে গাছটি যেসব স্থানে রাখা হয় সেখানে জল ধারণক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে, যেন গাছের শিকড়ে পানি জমে না থাকে।
-
শীতকাল: শীতকালে রক্ত কাটামুকুট গাছের বৃদ্ধি ধীর হয়ে আসে, কিন্তু ফুল দিতে থাকে। শীতকালীন সময়ে গাছের জন্য খুব বেশি পানি দেওয়ার দরকার নেই। এর পাশাপাশি, গাছের শাখাগুলির শীর্ষ থেকে কিছুটা ছেঁটে ফেললে গাছটির বিকাশ আরও ভাল হয়।
যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ
১. প্রতিদিন জল দেওয়া: Rokto Katamukut গাছকে নিয়মিত জল দিতে হবে, তবে মাটির আর্দ্রতা খুব বেশি হতে দেওয়া উচিত নয়। এই গাছের জন্য জল দেওয়ার সময় পরিমাণ ও সঠিক সময়ে জল দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মকালে গাছটি বেশি জল শোষণ করতে পারে।
২. সার প্রয়োগ: এই গাছটি সারের ব্যাপারে কিছুটা বিশেষ মনোযোগের দাবি রাখে। গাছটি ফুল দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব পূরণ করতে হলে প্রতি ২-৩ মাস অন্তর সার দেওয়া উচিত। রক্ত কাটামুকুট গাছের জন্য উর্বর মাটিতে বসানোর পর সুষম সার ব্যবহার করা উত্তম।
৩. ছেঁটে ফেলা: গাছটি যেহেতু গুল্ম জাতীয়, তাই কখনও কখনও গাছের শাখাগুলি ছেঁটে ফেলা উচিত যাতে গাছটি সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ফুলের ঝাড়টি আরও সুন্দর এবং ভারসাম্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। পুরনো শাখাগুলি ও শুকানো পাতা পরিষ্কার করতে হবে যাতে গাছটি সুস্থ ও সবল থাকে।
৪. রোদের প্রয়োজনীয়তা: Rokto Katamukut ফুল গাছের জন্য পূর্ণ সূর্যালোক প্রয়োজন। গাছটি যদি দীর্ঘসময় ছায়াতে থাকে, তবে ফুল কম দিতে পারে। তাই গাছটিকে এমন স্থানে রাখুন যেখানে এটি পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায়।
উপসংহার
Rokto Katamukut ফুল গাছের যত্ন নেওয়া কঠিন কিছু নয়, তবে নিয়মিত মনোযোগ ও সঠিক পদ্ধতির মাধ্যমে এই গাছটি আপনার বাগানে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম। গ্রীষ্ম, বর্ষা, ও শীতকালীন সময়ে যথাযথ পরিচর্যা, জল দেওয়া এবং সার প্রয়োগের মাধ্যমে গাছটির ফুলের ঝাড় সর্বদা সুন্দর এবং জীবন্ত থাকবে।
Single Petal Pink White | Seed Adenium | Obesum
Multi Petal White Red Mixed – Grafting Adenium – Obesum
বেলি ফুলের চারা | Belly Flower | Jasmine flower | জেসমিন ফুল
Belly Flower গাছের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখতে হয়।
এর জন্য সঠিক পরিবেশ ও যত্নের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন: ১. আলো: Belly Flower সূর্যের আলো পছন্দ করে, তাই এটি উন্মুক্ত স্থানে বা আংশিক ছায়াযুক্ত স্থানে লাগানো উচিত। পূর্ণ সূর্যালোকের অধীনে এটি ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। সঠিক আলো পেলে গাছটি স্বাস্থ্যবান থাকে এবং ভালো ফলন হয়। ২. মাটি: Belly Flower সুষম ও ঝাঁঝালো মাটিতে ভালো জন্মে। মাটি যেন ভাল drainage সিস্টেমযুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করা উচিত। বেলে, দো-আঁশ মাটি এর জন্য উপযুক্ত, তবে মাটির pH স্তর ৬.৫ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে থাকা উচিত। ৩. পানি: Belly Flower মাঝারি পরিমাণে পানি পছন্দ করে। অতিরিক্ত পানি গাছের মূল পচন ঘটাতে পারে, তাই মাটির পানি নিষ্কাশন ভাল হতে হবে। তবে শীতকালে পানি কম দিতে হবে কারণ গাছের বৃদ্ধি কমে আসে। গরম মৌসুমে পানি নিয়মিত দিতে হবে, তবে মাটির উপরিভাগে পানি জমে থাকতে দেবেন না। ৪. যত্ন ও ছাঁটাই: বেলি গাছের জন্য নিয়মিত ছাঁটাই জরুরি। মৃত শাখা ও পাতা পরিষ্কার করা উচিত, যাতে নতুন শাখা ও পাতা ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। এছাড়া গাছের মধ্যে আর্দ্রতা বা রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতি কয়েক মাসে মাটি চিহ্নিত করে জৈব সার দিতে পারেন। রক্ষণাবেক্ষণ: বেলি গাছের রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত রোগ ও পোকামাকড়ের প্রতিকার হিসেবে কিছু সাধারণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত: ১. রোগের প্রতিকার: Belly Flower সাধারণত কিছু বিশেষ রোগের শিকার হয়, যেমন পাউডারি মিলডিউ, পত্র গুল্ম, মাটির পচন ইত্যাদি। রোগের ক্ষেত্রে সঠিক রোগ নিরাময়কারী ও জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করা উচিত। প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে অ্যালোভেরা বা লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে। ২. পোকামাকড়ের আক্রমণ: বিশেষ করে পিপঁড়ে, উকুন, মথ ও পিপঁড়ের আক্রমণ থেকে গাছকে বাঁচাতে সঠিক কীটনাশক স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া গাছের আশেপাশে গাছের পাতা এবং মাটি পরিষ্কার রাখতে হবে। ৩. ফুল ও ফলের যত্ন: বেলি ফুল গাছের ফুলের জন্য বিশেষ ধরনের পরিচর্যা দরকার। ফুল গাছ থেকে পেকে যাওয়া ফল সংগ্রহ করা উচিত, কারণ এটি গাছের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। ফল পাকলে, গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করার পর গাছের সঠিক যত্ন নিতে হবে। উপসংহার: বেলি গাছ একটি অত্যন্ত উপকারী ও সৌন্দর্যপূর্ণ গাছ। এর ফুল, ফল ও পাতা সবই বিভিন্ন প্রকারের ঔষধি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সঠিক পরিচর্যা ও যত্নের মাধ্যমে এই গাছটিকে দীর্ঘ সময় ধরে বাড়ির বা বাগানে রাখা সম্ভব। গাছটির অদ্ভুত সুগন্ধ, ঐতিহ্যগত গুরুত্ব ও ঔষধি গুণাবলী এটিকে উপযুক্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করলে এটি একটি অত্যন্ত উপকারী গাছ হয়ে উঠতে পারে।হাসনাহেনা ফুলের চারা | Night-Blooming Jasmine | Hasnahena | Cestrum Nocturnum
Hasnahena মৌসুম অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ
Hasnahena গাছের রক্ষণাবেক্ষণ মৌসুম অনুসারে পরিবর্তিত হয়। এই গাছটি গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে, তবে সঠিক যত্ন নেওয়া হলে শীতকালেও এটি সুস্থ থাকে। নিচে মৌসুম অনুযায়ী হাসনাহেনা গাছের রক্ষণাবেক্ষণের কৌশল আলোচনা করা হলো:
১. গ্রীষ্মকাল (গরম মৌসুম)
গ্রীষ্মকালে হাসনাহেনা গাছের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। এই সময়ে গাছটি প্রচুর সূর্যালোক পায়, যা ফুল ফোটার জন্য প্রয়োজন। তবে গরমের দিনে গাছটি খুব বেশি রোদে রাখলে তার পাতা পুড়ে যেতে পারে, তাই গাছটি শেড বা কিছুটা আংশিক রোদে রাখা ভালো।
গ্রীষ্মকালে গাছের পানি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরম আবহাওয়ার কারণে মাটি দ্রুত শুকিয়ে যায়, তাই প্রতিদিন গাছের আশপাশে পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে। তবে, জলাবদ্ধতা থেকে গাছকে রক্ষা করতে হবে, কারণ অতিরিক্ত পানি শিকড়ের পচন সৃষ্টি করতে পারে। গাছের মাটি পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্দ্র থাকতে হবে, তবে পানি জমে না থাকা উচিত।
গ্রীষ্মকালে গাছটিকে সঠিক পুষ্টি দেওয়ার জন্য কম্পোস্ট বা সম্পূর্ণ ভারসাম্যযুক্ত সার দেওয়া যেতে পারে। এটি ফুল ফোটানোর জন্য শক্তি যোগাবে।
২. বর্ষাকাল
বর্ষাকালে Hasnahena গাছের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। বর্ষাকালে প্রাকৃতিক পানি সরবরাহ বেশি হয় এবং গাছটি অধিকতর বৃদ্ধি পায়। তবে, গাছের শিকড়ের জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে খেয়াল রাখতে হবে, কারণ অতিরিক্ত আর্দ্রতা গাছের শিকড়ের পচন ঘটাতে পারে। তাই গাছের মাটির সঠিক নিষ্কাশন নিশ্চিত করা উচিত।
বর্ষাকালে যদি বেশি বৃষ্টি হয়, তাহলে গাছের গোড়ায় পানি জমে না গিয়ে দ্রুত প্রবাহিত হতে পারে, এর জন্য মাটির ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা করা গুরুত্বপূর্ণ। গাছের পাতা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে যাতে কোনো ধরনের ছত্রাক বা পোকামাকড় না জন্মায়।
৩. শীতকাল
শীতকালে গাছটি তেমন বৃদ্ধি পায় না, তবে কিছু পরিমাণে ফুল ফুটতে দেখা যেতে পারে। এই সময়ে গাছের পানি দেওয়ার পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে, কারণ শীতকালীন সময়ে মাটি বেশি আর্দ্র হয়ে থাকে। তবে, শীতকালে গাছের গোড়ায় মাটি খুব বেশি শুকিয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শীতকালে গাছের পাতা পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে, কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে পাতা এবং ফুল দ্রুত মরে যেতে পারে। গাছটি শীতের তীব্র ঠান্ডা থেকে রক্ষা করার জন্য অস্থায়ী আবরণ ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষ করে যদি তাপমাত্রা অত্যধিক কমে যায়।
৪. সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণ
-
প্রতি বছর ছাঁটাই: Hasnahena গাছের আকার ও পদ্ধতি বজায় রাখতে প্রতি বছর গাছটি ছাঁটাই করা উচিত। এটি গাছের শক্তিশালী শাখা গঠন এবং সুন্দর ফুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
-
পোকামাকড় ও রোগের প্রতিরোধ: Hasnahena গাছের পাতা, ফুল বা শিকড়ে পোকামাকড় ও ছত্রাক আক্রমণ হতে পারে, বিশেষ করে আর্দ্র আবহাওয়ার মধ্যে। এজন্য নিয়মিত পাতা ও ফুল পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজন হলে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত।
-
সার প্রয়োগ: গাছের ফুল ভালোভাবে ফোটানোর জন্য প্রতি ৬ মাসে একবার কম্পোস্ট বা ভারসাম্যযুক্ত সার দিতে হবে। তবে, অতিরিক্ত সার দেওয়ার ফলে গাছের শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই সঠিক পরিমাণে সার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
Hasnahena গাছ তার সুগন্ধি ফুল ও সহজ পরিচর্যার জন্য পরিচিত। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও মৌসুম অনুযায়ী যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে এটি আপনার বাগানে দীর্ঘকাল সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারে। গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল এবং শীতকাল—প্রত্যেকটি মৌসুমে এই গাছের যত্নের কিছু বিশেষ দিক রয়েছে, যা গাছটির সুস্থতা এবং ফুল ফোটানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সাদা রঙ্গন | White Ixora | Sada Rangan
পিংক রঙ্গন | Pink Ixora | Golapi Rangan
অরেঞ্জ রঙ্গন | Orange Ixora Plant | Komla Rangan | কমলা রঙের ফুলের গাছ
মিনি লাল রঙ্গন | Mini Red Ixora | Lal Rangan
কাঁঠালি হলুদ রঙ্গন | Yellow Ixora
সিলভার রেড বাগানবিলাশ | Silver Red Bougainvillea
বাগানবিলাস গাছের যত্ন
Silver Red Bougainvillea গাছের যত্ন নেওয়া একেবারে সহজ। তবে কিছু মৌলিক বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হয় যাতে এটি ভালভাবে বৃদ্ধি পায় এবং সুন্দর ফুল ফুটে।- আলো ও অবস্থান: Silver Red Bougainvillea গাছ সূর্যালোক ভালোভাবে পছন্দ করে, তাই এটি এমন স্থানে রোপণ করা উচিত যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পৌঁছাতে পারে। গাছটি সকালে বা বিকেলে সরাসরি সূর্যালোক নিতে পছন্দ করে, কিন্তু দুপুরের তীব্র সূর্যালোক থেকে এটি কিছুটা রক্ষা করা ভালো। এটি গাছের পাতা পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সহায়ক।
- মাটি: Silver Red Bougainvillea গাছ সাধারণত ভাল সেচযুক্ত, সারসমৃদ্ধ এবং অল্প অ্যাসিডিক মাটিতে ভালো জন্মায়। মাটি কাঁচা এবং সঠিকভাবে সার দেওয়া উচিত। অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা থেকে গাছটিকে রক্ষা করা উচিত, কারণ এর ফলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে।
- পানি: গাছটি মাঝারি পরিমাণ পানি পছন্দ করে। অতিরিক্ত পানি দেওয়া হলে গাছের শিকড় পঁচে যেতে পারে। জলসেচন ব্যবস্থা ভাল হওয়া উচিত, যাতে মাটিতে জমা জল না থাকে। গ্রীষ্মকালে, গাছকে প্রতিদিন পানি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু শীতকালে পানি দেওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
- সার প্রয়োগ: Silver Red Bougainvillea গাছের সঠিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত সার প্রয়োগ করা জরুরি। মূলত রকমারি পুষ্টি ও রক্তবর্ণ সার ব্যবহার করা উচিত। ফুল ফোটানোর সময় এতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত যাতে ফুলের পরিমাণ ও সৌন্দর্য বাড়ে।
- কাটা ও ছাঁটাই: গাছটি মাঝে মাঝে কাটা বা ছাঁটাই করা প্রয়োজন যাতে এটি সঠিক আকারে বৃদ্ধি পায় এবং নতুন শাখা ও ফুলের বৃদ্ধি হয়। ফুলের শেষ অংশ পেরিয়ে গেলে তা ছেঁটে দেওয়া উচিত, যাতে নতুন ফুল আসতে পারে।
- রোগ ও পোকামাকড়: Silver Red Bougainvillea গাছের রোগ বা পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে, যেমন পাতার পচন, ধূসর মোল্ড বা আফিডস। এই সমস্যা থেকে গাছকে রক্ষা করতে নিয়মিত পাতাগুলি পরীক্ষা করা উচিত এবং প্রয়োজনে জৈব পেস্টিসাইড ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাগানবিলাস ফুল গাছের সৌন্দর্য
বাগানবিলাস গাছের ফুলের সৌন্দর্য অতি মনোমুগ্ধকর। এর ছোট কিন্তু খুব রঙিন ফুলগুলি সারা বাগানকে আলোকিত করে তোলে। বিশেষত গ্রীষ্মের মৌসুমে এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফুল গাছ। যখন ফুলগুলি গাছের শাখায় গুচ্ছ আকারে ফুটে থাকে, তখন তা এক অসাধারণ দৃশ্য তৈরি করে। এটি শুধু সৌন্দর্যই নয়, বরং গাছটি বিভিন্ন আঙ্গিনায় হালকা ও শীতল পরিবেশ সৃষ্টি করে, বিশেষ করে যদি এর ফুলের সৌন্দর্য চাক্ষুষ করা যায়। বাড়ির বাগানে বাগানবিলাস গাছ রোপণ করলে বাড়ির পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং এতে এমন এক আনন্দ আসে যা অন্য কোনো ফুল গাছের সাথে তুলনা করা যায় না।উপসংহার
বাগানবিলাস ফুল গাছ শুধু তার রঙিন ফুলের জন্য নয়, এর সহজ যত্ন এবং দুর্দান্ত সৌন্দর্যের জন্যও জনপ্রিয়। এটি কোনো বাগানে বা বাড়ির আঙ্গিনায় ভালোভাবে মানিয়ে যায় এবং খুবই মুগ্ধকর এক দৃশ্য সৃষ্টি করে। তাই যদি আপনি এমন একটি ফুল গাছ খুঁজছেন যা আপনার বাগান বা আঙ্গিনাকে রাঙিয়ে তুলবে, তাহলে বাগানবিলাস গাছ হতে পারে আপনার আদর্শ নির্বাচন।অন্সিডিয়াম ড্যান্সিং লেডি অর্কিড | Oncidium Dancing Lady Orchid Plant | হ্যাঙ্গিং হলুদ অর্কিড
মৌসুম অনুযায়ী গাছের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ
Oncidium Dancing Lady Orchid একটি উষ্ণ-প্রেমী গাছ, যা সঠিক যত্নের মাধ্যমে বছরের পর বছর সুন্দর ফুল দিতে পারে। মৌসুম অনুযায়ী গাছের যত্ন নিতে কিছু বিশেষ পদক্ষেপ প্রয়োজন।
গ্রীষ্মকাল:
-
আলো: গ্রীষ্মকালে গাছটি পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রাপ্তি নিশ্চিত করা জরুরি। তবে সরাসরি সূর্যালোক থেকে সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করুন, কারণ তীব্র রোদে পাতা পুড়ে যেতে পারে। ঘরের ভেতরে থাকলে, গাছটিকে একটি উজ্জ্বল, দক্ষিণ বা পূর্বমুখী জানালার কাছে রাখা ভালো।
-
পানি দেয়া: গ্রীষ্মকালে অর্কিডের পানি প্রয়োজন বেশি। তবে, মাটির অতিরিক্ত আর্দ্রতা থেকেও গাছটি সুরক্ষিত থাকতে হবে, কারণ অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা রুট পঁচন সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণত একদিন অন্তর গাছটিকে পানি দিতে হবে।
-
আর্দ্রতা: Oncidium অর্কিড আর্দ্র পরিবেশে ভালো বেড়ে ওঠে। গ্রীষ্মকালে আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য, গাছটির চারপাশে পানি স্প্রে করা বা ট্রে ভরে পানি রাখাও কার্যকর।
বর্ষাকাল:
-
পানি দেয়া: বর্ষাকালে অর্কিডের পানি প্রয়োজন কিছুটা কমে আসে। তবে, মাটির শুষ্কতা পরীক্ষা করে পানি দিতে হবে, এবং অবশ্যই গাছের গোড়া শুকনো রাখা উচিত।
-
পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ: বর্ষাকালে অর্কিডের পাতা ও ফুলে পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতি সপ্তাহে পাতাগুলোর উপর সাবধানে চোখ রেখে কিছু প্রাকৃতিক কীটনাশক বা neem oil ব্যবহার করতে পারেন।
শীতকাল:
-
তাপমাত্রা: শীতকালে গাছটি উষ্ণ তাপমাত্রায় রাখতে হবে। আদর্শ তাপমাত্রা ১৮-২২°C (৬৪-৭২°F) হলে গাছটি ভালো থাকে। তাপমাত্রা কমে গেলে গাছটির বৃদ্ধিতে বাধা হতে পারে এবং ফুল উৎপাদনে দেরি হতে পারে।
-
পানি দেয়া: শীতকালে পানি দেয়া কমিয়ে দিতে হবে। মাটি প্রায় শুকিয়ে আসলে, গাছকে পানি দিতে হবে। শীতকালে বেশি পানি দিলে গাছের গোড়া পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
আর্দ্রতা: শীতকালে আর্দ্রতা কম হয়ে যায়, তাই গাছটির চারপাশে পানি স্প্রে করে বা হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করে আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।
ফুল ফোটানোর সময় (সর্বোচ্চ যত্ন):
-
ফুল ফোটানোর পর: ফুল ফোটানোর পর গাছটির যত্ন নেওয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শুকনো ফুলগুলো সাবধানে কেটে ফেলুন, যাতে নতুন ফুলগুলো ফুটতে পারে।
-
ছাঁটাই: ফুল ফোটানোর পর, ফুলের স্টেম বা ডালগুলোতে গাছের বৃদ্ধির জন্য ছাঁটাই করা প্রয়োজন। তবে খুব বেশি ছাঁটাই না করে কেবল শুকনো ও পুরনো ডালগুলো কেটে ফেলুন।
বিশেষ যত্ন এবং পরামর্শ:
-
Oncidium অর্কিডের মাটির বেস পিএইচ ৬.০-৭.০ হওয়া উচিত। অর্কিডের জন্য বিশেষ মাটির মিশ্রণ ব্যবহার করা উচিত, যাতে পানি ভালোভাবে চলাচল করতে পারে।
-
গাছটির রুট সিস্টেমের অগ্রগতি এবং গাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে, প্রতি বছর গাছটি রিপট করে দিতে হবে।
উপসংহার:
Oncidium Dancing Lady Orchid একটি অত্যন্ত সুন্দর এবং বিশেষ ধরনের অর্কিড গাছ, যা সঠিক যত্নের মাধ্যমে দীর্ঘকাল ধরে সুন্দর ফুল দিতে পারে। গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শীতকাল অনুযায়ী এই গাছের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত আলো, সঠিক তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত আর্দ্রতা এবং পানি প্রদান নিশ্চিত করলে, Oncidium অর্কিড আপনার বাগানে চমৎকার শোভা আনতে সক্ষম হবে।
গ্রাউন্ড অর্কিড অরেন্জ | Ground Orchid Orange | Spathoglottis
Ground Orchid Orange মৌসুম অনুযায়ী যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ:
Ground Orchid Orange ফুল গাছের জন্য সঠিক যত্ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ মৌসুম অনুযায়ী আলাদা আলাদা হতে পারে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. গ্রীষ্মকাল (মার্চ-জুন):
গ্রীষ্মকালে Ground Orchid Orange গাছটি তার ফুলের পূর্ণ বিকাশে থাকে। গ্রীষ্মের গরম এবং প্রখর সূর্যের আলো গাছটির বৃদ্ধির জন্য উপকারী। এই সময়ে গাছের বিশেষ যত্ন নিতে হবে:
- পানি দেয়া: গ্রীষ্মকালে মাটি দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে, তাই গাছকে নিয়মিত পানি দিতে হবে। তবে, গাছের নিচে পানি জমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- সূর্যের আলো: অর্কিড গাছটি সূর্যের আলো পছন্দ করে, তাই গাছটি এমন স্থানে রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত আলো পৌঁছাতে পারে। যদি সরাসরি সূর্যের তাপে গাছটি পোড়ে, তবে কিছুটা ছায়া দিতে হবে।
- সার প্রদান: গ্রীষ্মকাল হলো অর্কিড গাছের সবচেয়ে সক্রিয় সময়, তাই এই সময়ে প্রয়োজনীয় সার (বিশেষত নাইট্রোজেন, ফসফরাস, এবং পটাশিয়াম) দিতে হবে। এটি গাছের শক্তি এবং ফুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
২. বর্ষাকাল (জুলাই-সেপ্টেম্বর):
বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত গাছের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে এতে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন:
- জল নিস্কাশন: বর্ষাকালে অতিরিক্ত জল জমে থাকতে পারে, যার ফলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে। তাই মাটির জলনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং গাছের নিচে পানি জমতে না দেয়ার জন্য সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
- পোকামাকড়ের আক্রমণ: বর্ষাকালে কিছু পোকামাকড় এবং ছত্রাক আক্রমণ করতে পারে। তাই গাছের পাতা এবং ফুল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
- ফুলের পরিচর্যা: বর্ষাকালে গাছের ফুলগুলি অতিরিক্ত জল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই অতিরিক্ত বৃষ্টির সময় গাছের ফুলগুলো রক্ষা করতে হবে।
৩. শীতকাল (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি):
শীতকাল গাছটির জন্য একটি নিরিবিলি সময়, তবে সঠিক যত্ন নিয়ে গাছটি শীতেও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। শীতকালীন যত্নের কিছু মূল বিষয়:
- পানি দেয়ার পরিমাণ কমানো: শীতকালে গাছের পানি প্রয়োজন কম থাকে, তাই এই সময়ে গাছকে কম পানি দিতে হবে। মাটি শুষ্ক হলে পানি দিতে হবে, কিন্তু মাটির মধ্যে জল জমে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- হালকা সূর্যের আলো: শীতকালীন সময়ে সূর্যের আলো কম থাকে, তাই গাছটি এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে সূর্য দেখা যায়। তবে, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা থেকে গাছটিকে রক্ষা করতে হবে।
- গাছের সঠিক অবস্থান: শীতকালীন ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে গাছটিকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। এজন্য কিছু গাছের রক্ষা করার জন্য পাতা বা কাপড় দ্বারা ঢেকে রাখতে পারেন।
৪. সার্বিক যত্ন:
- পোকামাকড় এবং ছত্রাকের প্রতিকার: নিয়মিতভাবে গাছের পাতা এবং ফুল পরীক্ষা করুন। পোকামাকড় বা ছত্রাক দেখা দিলে প্রয়োজনে কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ব্যবহার করুন।
- গাছের শাখা ছাঁটাই: গাছের মৃত বা শুষ্ক শাখাগুলি ছাঁটাই করে দিন যাতে গাছটি সুস্থভাবে বাড়তে পারে।
- মাটির পরীক্ষা: প্রতি কয়েক মাসে মাটির পিএইচ এবং পুষ্টি পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে সার বা পুষ্টি যোগ করুন।
উপসংহার:
Ground Orchid Orange ফুল গাছ একটি অত্যন্ত সুন্দর ও জনপ্রিয় ফুল গাছ যা সঠিক যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে ফুল দেয়। মৌসুম অনুযায়ী পানি, সূর্যের আলো, সার এবং অন্যান্য যত্ন গ্রহণ করলে গাছটি সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে এবং প্রাণবন্ত ফুল ফোটাতে সক্ষম হয়। গ্রীষ্মকালে বেশি ফুল এবং শীতকালে কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন হলেও, প্রতিটি সময়ে সঠিক যত্ন নিলে গাছটি একটি চমৎকার শোভা প্রদান করে।