4
Total
1,100.00৳
Subtotal: 1,100.00৳
Total Weight: 6 kg
4
Total
1,100.00৳
Subtotal: 1,100.00৳
Total Weight: 6 kg
বাংলাদেশে গোলাপ গাছের সারা বছরের পরিচর্যার পদ্ধতি
গোলাপ গাছ সারা বছর সুস্থ ও ফুলে ভরা রাখতে সঠিক সময় মতো সার, পানি, ওষুধ এবং পরিচর্যা প্রয়োজন। নিচে মাসভিত্তিক নির্দেশনা দেওয়া হলো:
মৌসুমভিত্তিক পরিচর্যা
বসন্ত (ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল)
- ছাঁটাই (Pruning):
- শুকনো ও মরা ডালপালা কেটে গাছকে আকৃতিতে আনুন।
- বাতাস চলাচল ও রোদ পাওয়ার জন্য ডালপালা হালকা করুন।
- ছাঁটাইয়ের জন্য ধারালো ও জীবাণুমুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করুন।
- সার প্রয়োগ:
- বসন্তের শুরুতে NPK 10:10:10 ব্যবহার করুন।
- কয়েক সপ্তাহ পর জৈব সার (গোবর বা কম্পোস্ট) প্রয়োগ করুন।
- কীটনাশক ব্যবহার:
- এফিডস বা মাকড়সার আক্রমণ হলে ২ সপ্তাহ অন্তর নিম তেল স্প্রে করুন।
গ্রীষ্মকাল (মে থেকে জুলাই)
- পানি দেওয়া:
- সকালে বা বিকেলে ভালোভাবে পানি দিন।
- পানি যাতে জমে না থাকে তা নিশ্চিত করুন।
- সার প্রয়োগ:
- এই সময়ে পটাশ সমৃদ্ধ সার (NPK 6:12:18) ব্যবহার করুন।
- পোকামাকড় ও রোগ দমন:
- পাউডারি মিলডিউ ও ব্ল্যাক স্পট হলে ম্যানকোজেব বা সালফার স্প্রে ব্যবহার করুন।
বর্ষাকাল (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর)
- পানি ব্যবস্থাপনা:
- অতিরিক্ত পানি যাতে না জমে তা নিশ্চিত করুন।
- মাটিতে পচন প্রতিরোধে খড়ের মালচ ব্যবহার করুন।
- কীটনাশক ব্যবহার:
- আর্দ্রতার কারণে ছত্রাকের রোগ বেশি হয়। প্রতি ১৫ দিনে তামার ছত্রাকনাশক (copper fungicide) স্প্রে করুন।
- সার প্রয়োগ:
- বোন মিল বা লিকুইড সীউইড সার প্রয়োগ করুন।
শরৎকাল (অক্টোবর থেকে নভেম্বর)
- ছাঁটাই (Pruning):
- হালকা ছাঁটাই করে দুর্বল ও রোগাক্রান্ত ডালপালা অপসারণ করুন।
- সার প্রয়োগ:
- ফুলের কুঁড়ি তৈরির জন্য ফসফরাস সমৃদ্ধ সার (NPK 5:10:5) দিন।
- কীটনাশক ব্যবহার:
- পোকামাকড়, যেমন ক্যাটারপিলার ও বিটলস ঠেকাতে নিম তেল বা রসুন-লঙ্কার স্প্রে ব্যবহার করুন।
শীতকাল (ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি)
- ছাঁটাই (Pruning):
- ডিসেম্বরে শক্ত ছাঁটাই করে গাছকে পুনরুজ্জীবিত করুন।
- ডালের উচ্চতা এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কেটে দিন।
- সার প্রয়োগ:
- গোবর সার এবং ব্যালান্সড NPK সার প্রয়োগ করুন।
- কীটনাশক ব্যবহার:
- এফিড ঠেকাতে সাবান পানি বা জৈব কীটনাশক স্প্রে করুন।
সারের সময়সূচি
- জৈব সার: প্রতি ৩ মাস অন্তর প্রয়োগ করুন।
- রাসায়নিক সার:
- গাছের বৃদ্ধির সময় প্রতি মাসে NPK 10:10:10 প্রয়োগ করুন।
- ফুল ফোটার আগে (অক্টোবর-নভেম্বর) ফসফরাস সমৃদ্ধ সার ব্যবহার করুন।
- মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস: প্রতি ২ মাস অন্তর জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ও লৌহ সমৃদ্ধ মিশ্রণ দিন।
ওষুধ ব্যবহারের নিয়ম
- ছত্রাকজনিত রোগ:
- ব্ল্যাক স্পট বা পাউডারি মিলডিউ হলে ম্যানকোজেব বা কারবেনডাজিম ব্যবহার করুন।
- পোকামাকড় দমন:
- এফিড ও থ্রিপসের জন্য ইমিডাক্লোপ্রিড বা অ্যাসেটামিপ্রিড ব্যবহার করুন।
- নিম তেল বা জৈব স্প্রে পরিবেশবান্ধব উপায়।
- ব্যাকটেরিয়াল রোগ:
- স্ট্রেপ্টোমাইসিন সালফেট বা কপার অক্সিক্লোরাইড ব্যবহার করুন।
সাধারণ পরামর্শ
- গাছকে প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা রোদ পেতে দিন।
- গাছে পানি দেওয়ার সময় পাতা ভেজাবেন না, যাতে ছত্রাকের সংক্রমণ কমে।
- রোগ বা পোকার আক্রমণ হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
- একই ধরনের সার বা ওষুধ বারবার ব্যবহার না করে পরিবর্তন করুন।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে বাংলাদেশে আপনার গোলাপ গাছ সারা বছর সুন্দর ও সুস্থ থাকবে। 🌹
Facebook
X
LinkedIn
WhatsApp
Pinterest